আজ দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাভার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মোঃ শরিফুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন ভোটার হওয়ার জন্য যেসব কাগজপত্র তথ্য সংগ্রহকারীদের দিতে হবে
১। ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
২। জাতীয়তা/নাগরিকত্ব সনদের কপি।
৩। নিকট আত্মীয়ের এনআইডির ফটোকপি (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি)।
৪। এসএসসি/ দাখিল/ সমমান, অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৫। ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি/ চৌকিদারি রশিদের ফটোকপি)।
যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
১। নিজের নাম, পিতামাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
২। জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩। স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
৩। কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, একাধিকবার ভোটার হওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কেউ একাধিকবার ভোটার হলে আঙুলের ছাপ পরীক্ষার মাধ্যমে তা সহজেই শনাক্ত করা যায়।
উল্লেখ্য, ২০০৭-০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-১০ সাল, ২০১২-১৩, ২০১৫-১৬, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০ ও ২০২২-২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি। বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৩২ জন।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ছবি তোলার কাজ শুরু হবে। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।