মোস্তাফিজুর রহমানের ক্যারিয়ারসেরা স্পেলে ভর করে যুক্তরাষ্ট্রকে ১০৪ রানে আটকে ফেলতে সমর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। ফিজ মাত্র ১০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
টি-টোয়েন্টিতে মোস্তাফিজুর আগের সেরা স্পেলটি ছিল ২২ রানে ৫ উইকেট শিকার। প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে আগের সব পারফরম্যান্সকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
শনিবার (২৫ মে) ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৫ রান করে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সাকিব আল হাসান ভাঙেন তাদের উদ্বোধনী জুটি। নিজের দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তিনি আন্দ্রিস গোসকে সৌম্য সরকারের ক্যাচ বানান। দেশের জার্সিতে তিন ফরম্যাটে এটা সাকিবের ৭০০তম উইকেট। এ ম্যাচ খেলতে নামার আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার উইকেটসংখ্যা ছিল ১৪৫। টেস্টে ২৩৭টি ও ওয়ানডেতে ৩১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
সাকিবের পরেই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম ওভার করতে এসে কোনো রান না দিয়েই শায়ান জাহাঙ্গিরকে তুলে নেন তিনি। জাহাঙ্গির ২০ বলে করেন ১৮ রান। গোস ১৫ বলে করেছিলেন ২৭ রান। মোস্তাফিজের কিপটে বোলিংয়ের যাত্রায় যোগ দেন রিশাদ হোসেনও। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে মেডেন আদায় করেন রিশাদ। তাদের দুজনের কিপটে বোলিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চেপে ধরে বাংলাদেশ।
মোস্তাফিজুর রহমান সফল হন নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসেও। এ ওভারে ১ রান খরচায় তিনি তুলে নেন নিতিশ কুমারের উইকেট। নিতিশ ৯ বলে করেন ৩ রান। প্রথম ২ ওভারে ১৯ রান খরচ করা তানজিম সাকিব শিকার করেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোনসের উইকেট। জোনস ২ রান করে ক্যাচ দেন রিশাদ হোসেনের হাতে।
এরপর আর কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিক দল। রিশাদ নেন মিলিন্দ কুমারের উইকেট। তিনি নিজের কোটা শেষ করেন মাত্র ৭ রান দিয়ে। ফিজ দলীয় ১৮তম ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন। শাডলে ভনের পর তার শিকারে পরিণত হন কোরি অ্যান্ডারসন। শাডলে ১২ ও অ্যান্ডারসন ১৮ রান করেন। শেষ ওভারে জেসি সিংয়ের উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওই ওভারেই তিনি ফেরান নিসার্গ প্যাটেলকেও।