বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ খান মেননের আজ ৮১তম বর্ষে পদার্পণ করলেন। তার জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির আয়োজনে শনিবার (১৮ মে) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা সামাজিক অনুষ্ঠানকেন্দ্রে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
রাশেদ খান মেনন, ষাট দশকের তুখোড় ছাত্র নেতা, সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। জন্ম ১৯৪৩ সনের ১৮ মে। তার পৈতৃক নিবাস বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে। তার পিতা বিচারপতি আব্দুল জব্বার খান একসময় পাকিস্তানের স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেছেন। সুপ্রসিদ্ধ পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী রাশেদ খান মেননের ভাইবোন হচ্ছেন মরহুম সাদেক খান, কিংবদন্তিতুল্য কবি মরহুম আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ খান, প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম এনায়েতুল্লাহ খান, বোন সেলিমা রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শহিদুল্লাহ খান বাদল।
রাশেদ খান মেনন ১৯৬৩-৬৪ সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসুর ভিপি ও ৬৫-৬৭ সালে সাবেক পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬৭-৬৯ সালে জেলে থাকাকালীন মেনন বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন। সে সময়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি ক্যান্টনমেন্টে বন্দি হওয়ার আগে পর্যন্ত জেলের বাইরে বঙ্গবন্ধুর যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ঢাকার অদূরে নরসিংদী শিবপুরকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের কাজ শুরু করেন। পরে প্রবাসে মওলানা ভাসানীকে প্রধান করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে আত্মনিয়োগ করেন।
বর্তমানে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছাড়াও গবেষণার কাজ, প্রবন্ধ-নিবন্ধ রচনা, কলাম লেখায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার ওই কলামগুলো একত্রিত করে এ পর্যন্ত ৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে আত্মজীবনী ‘এক জীবন: স্বাধীনতার সূর্যোদয় (প্রথম পর্ব)।’