মঙ্গলবার (২৮ মে) ভোরে আলুটিলা এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা থেকে ভারিবর্ষণের ফলে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে যায়। এরপর রাত থেকে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করে। জেলা শহরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, খবংপুড়িয়া ও দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালী ইউনিয়নের দশটি গ্রামে পানিবন্দি হাজারও পরিবার। সড়কে পানি জমে যাওয়ায় সাজেক ও রাঙ্গামাটির লংগদুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পুরো জেলা। রাত সাড়ে ১১টায় আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকায় বৈদ্যুতিক তারে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাসেল হোসেন নামে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
দুর্যোগ মোকাবেলায় ৯ উপজেলায় ১০০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা-মারিশ্যা সড়কের একাধিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাঘাইছড়ির সঙ্গে সারাদেশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, মোবাইল নেটওয়ার্ক ঠিক মতো পাচ্ছি না, যার কারণে সার্বিক পরিস্থিতির খবর পেতে বেগ পেতে হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি এখন কমেছে। যদি আবার বৃষ্টি বাড়ে তবে আরও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।