হাতীবান্ধা মডেল কলেজে অধ্যক্ষ পদ নিয়ে সংঘর্ষ যুবলীগ-জামায়াত নেতাদের উত্তপ্ত দ্বন্দ্ব

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১২:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭১ বার পঠিত হয়েছে

হাতীবান্ধা মডেল কলেজ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে অধ্যক্ষ পদকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আজ বেলা ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। চার দাবিদারের অধ্যক্ষ পদ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঘিরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা হামলা-পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হাতীবান্ধা মডেল কলেজ দীর্ঘকাল অধ্যাপক ইউনুস আলীর নেতৃত্বে সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হলেও সম্প্রতি গভর্নিং বডি গঠনকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ পদ নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুরের নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ সদস্যের গভর্নিং বডি গঠিত হয় ২০০৯ সালের প্রবিধানমালার ৪ ধারা মোতাবেক। প্রতিষ্ঠাতা ইউনুস আলীকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটির দায়িত্বে থাকার পর থেকেই অধ্যক্ষ পদ নিয়ে চার শিক্ষকের দাবি জটিলতা বাড়ায়।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রভাষক মোঃ নুরুজ্জামান, সালমা খাতুন ও নওশাদ ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করে আসছেন। গত ৫ আগস্টের পর প্রভাষক ও উপজেলা জামায়াতের আমীর হাছেন আলীও নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই চতুর্থ দাবিদারের জামায়াত সংশ্লিষ্টতাই যুবদল-জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাছেন আলী দৈনিক টার্গেট কে বলেন, “আমার কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার ইচ্ছা নেই। আমি সরাসরি এ দাবি থেকে সরে এসেছি। ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে আমার সম্পৃক্ততা নেই।”

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শামীম মিঞা জানান, “ঘটনাস্থলে তদন্ত চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছেন। তাদের আশঙ্কা, দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্বে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষক বলেন, “অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে হবে।”

হাতীবান্ধা মডেল কলেজে অধ্যক্ষ পদ নিয়ে সংঘর্ষ যুবলীগ-জামায়াত নেতাদের উত্তপ্ত দ্বন্দ্ব

প্রকাশ: ১২:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা মডেল কলেজে অধ্যক্ষ পদকে কেন্দ্র করে যুবলীগ ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

আজ বেলা ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। চার দাবিদারের অধ্যক্ষ পদ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ঘিরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা হামলা-পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হাতীবান্ধা মডেল কলেজ দীর্ঘকাল অধ্যাপক ইউনুস আলীর নেতৃত্বে সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হলেও সম্প্রতি গভর্নিং বডি গঠনকে কেন্দ্র করে অধ্যক্ষ পদ নিয়ে অন্তর্দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুরের নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ সদস্যের গভর্নিং বডি গঠিত হয় ২০০৯ সালের প্রবিধানমালার ৪ ধারা মোতাবেক। প্রতিষ্ঠাতা ইউনুস আলীকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটির দায়িত্বে থাকার পর থেকেই অধ্যক্ষ পদ নিয়ে চার শিক্ষকের দাবি জটিলতা বাড়ায়।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রভাষক মোঃ নুরুজ্জামান, সালমা খাতুন ও নওশাদ ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের অধ্যক্ষ হিসেবে দাবি করে আসছেন। গত ৫ আগস্টের পর প্রভাষক ও উপজেলা জামায়াতের আমীর হাছেন আলীও নিজেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন। এই চতুর্থ দাবিদারের জামায়াত সংশ্লিষ্টতাই যুবদল-জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হাছেন আলী দৈনিক টার্গেট কে বলেন, “আমার কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার ইচ্ছা নেই। আমি সরাসরি এ দাবি থেকে সরে এসেছি। ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে আমার সম্পৃক্ততা নেই।”

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ শামীম মিঞা জানান, “ঘটনাস্থলে তদন্ত চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত শান্তিপূর্ণ সমাধান চাইছেন। তাদের আশঙ্কা, দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্বে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষক বলেন, “অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন। প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করতে হবে।”