বাংলাদেশ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিজের তৈরি ‘উড়োজাহাজে’ নিজেই সফলভাবে আকাশে উড়লেন জুলহাস মোল্লা।
আজ মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের ষাইটঘর তেওতা গ্রামে। জুলহাস উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকায় যমুনা নদীর চরে নিজের তৈরি উড়োজাহাজে চড়ে উড়ে বেড়ান আকাশে।
জেলা প্রশাসকসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাঁর তৈরি বিমান উড্ডয়নের দৃশ্য দেখতে সেখানে হাজির হয়েছিলেন। স্থানীয় হাজারোধিক উৎসুক লোকজনও সেখানেই ভিড় করছেন।
জুলহাসের বাবা জলিল মোল্লার গ্রামের বাড়ি ছিল জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া এলাকায়। পরে নদীভাঙনের কারণে বর্তমানে তাঁরা শিবালয় উপজেলার ষাইটঘর তেওতা এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করছেন।
৬ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে জুলহাস পঞ্চম। জিয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকেই এসএসসি পাস করেছেন। তবে অর্থাভাবে আর পড়তে পারেননি জুলহাস।
জুলহাস পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন। অবসরে তিনি এই উড়োজাহাজ তৈরি করছেন।

জুলহাস দৈনিক টার্গেটকে বলেন, ৩ বছর গবেষণা ও ১ বছর সময় লেগেছে উড়োজাহাজটি তৈরি করতে মূলত। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম ও লোহা দিয়ে বিমানটির অবকাঠামোগত তৈরি। পানির পাম্পের ‘সেভেন হর্স পাওয়ারের’ ইঞ্জিন ব্যবহার করেছেন।
জুলহাস আরো বলেন, এই উড়োজাহাজ মূলত পরীক্ষামূলক ভাবে প্রশিক্ষণের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। বাণিজ্যিক ভাবে এটি তৈরি করা হয়নি। তবে যদি সরকারিভাবে অর্থায়ন ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাণিজ্যিক ভাবে এটি তৈরি করা যেতেই পারে দেশের জন্য। উড়োজাহাজটি ৫০ ফুট ওপরে উড়তে পারেন।
জেলা প্রশাসক মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, জুলহাসের গবেষণা কাজে সরকার সহযোগিতা করবেন। তবে এটি একটি কারিগরি বিষয়। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দেশের জন্য এটা বড় একটা বিষয়। প্রাথমিকভাবেই কিছু আর্থিক সহযোগিতা করে তাঁকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।