আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৯:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ৫১ বার পঠিত হয়েছে

আজ ৮ই মার্চ শনিবার ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদান, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সাফল্য উদযাপন ও নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদানের উদ্দেশে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিনটি পালন করা হয়।

বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও সংস্থা দিবসটি পালনে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লক্ষ-লক্ষ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদমুখর হয়েছেন। একাধিক নারী এই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমি এই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছেন সর্বক্ষেত্রেই। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সমাবেশ করলে অনেক নারী নির্যাতিত ও গ্রেপ্তার হন। ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের এক মিলিয়নেরও বেশি লোক আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছিল। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পর থেকে দিনটি সারা বিশ্বে একই দিনে পালিত হয়ে আসছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস

প্রকাশ: ০৯:১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

আজ ৮ই মার্চ শনিবার ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদান, সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সাফল্য উদযাপন ও নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদানের উদ্দেশে প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে দিনটি পালন করা হয়।

বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন ও সংস্থা দিবসটি পালনে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন নারী ও কন্যার উন্নয়ন’। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় ছাত্র-শ্রমিক-জনতা যে গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত করেছিল গত জুলাই-আগস্টে তার সম্মুখ সারিতে ছিল নারী। লক্ষ-লক্ষ ছাত্রী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দমন নিপীড়নের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদমুখর হয়েছেন। একাধিক নারী এই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণ করেছেন। আমি এই গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি এবং জুলাই যোদ্ধাদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। তারা এগিয়ে যাচ্ছেন সর্বক্ষেত্রেই। নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বহুমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা দৈনিক শ্রম ১২ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ৮ ঘণ্টায় আনা, ন্যায্য মজুরি এবং কর্মক্ষেত্রে সুস্থ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে সমাবেশ করলে অনেক নারী নির্যাতিত ও গ্রেপ্তার হন। ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের এক মিলিয়নেরও বেশি লোক আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছিল। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পর থেকে দিনটি সারা বিশ্বে একই দিনে পালিত হয়ে আসছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।