বাউফলে নির্মাণের একদিন পরেই সড়কে ধ্বস

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৫:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • ৭৬ বার পঠিত হয়েছে

বগা আরএসডি বাহেরচর জিসি সড়ক

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা আরএসডি বাহেরচর জিসি সড়ক নির্মাণের একদিন পরই ধ্বসে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ ইং অর্থ বছরে উপজেলার বগা থেকে কাছিপাড়া সড়কটি প্রশ্বস্তকরণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি।

একাধিক প্যাকেজের মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে সড়কটি ১০ ফুট থেকে ১৮ ফুট বর্ধিতকরণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করা ও নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহার করাসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

মঙ্গলবার শহীদ জালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সড়কটি পরিদর্শনকালে দেখা যায় বর্ধিত অংশের একাধিক স্থান দেবে গেছে। আবার কোথাও ধ্বসে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফোরকান প্যাদা ও মোকছেদুল ইসলাম বলেন, নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের দুই পাশে পাইলিং প্রয়োজন হলে সড়ক নির্মাণের আগেই তা করতে হয়। কিন্তু ঠিকাদার সড়কের সাববেইজ ও ম্যাকাডাম করার পর পাইলিং নির্মাণ করেছেন। এরপর ইট ভাঙার ডাস্ট দিয়ে রোলার মেশিন ব্যবহার না করেই কার্পেটিং করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী কথা বলতে গেলেই ঠিকাদারের লোকজন ধমক দিয়ে নিবৃত করেছেন।

তারা আরো বলেন, কাজে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় কার্পেটিং করার পরের দিনই একাধিক স্থানে ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। এবং রোববার কার্পেটিং করা হয় আর সোমবারই ধ্বসে পড়ে।

নুরুল ইসলাম নামের অপর এক ব্যাক্তি বলেন, এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মেনে নেওয়া যায় না। সিডিউল না মেনে নিম্মমানের উপকরণ দিয়ে নাম মাত্র কাজ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্মানকাজে নিয়োজিত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই অংশের ৬৬৮৫ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ করছেন খায়রুল কবির রানা নামের একজন নির্মাতা। আমাদেরকে যেভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয় সেভাবেই আমরা কাজ করছি।

অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবুল কালাম বলেন, যে অংশ ধ্বসে পড়েছে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।

এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাইন বলেন, কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। যেখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেখানে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ আদায় করার পরই বিল দেওয়া হবে।

বাউফলে নির্মাণের একদিন পরেই সড়কে ধ্বস

প্রকাশ: ০৫:৪৮:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা আরএসডি বাহেরচর জিসি সড়ক নির্মাণের একদিন পরই ধ্বসে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ ইং অর্থ বছরে উপজেলার বগা থেকে কাছিপাড়া সড়কটি প্রশ্বস্তকরণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি।

একাধিক প্যাকেজের মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়া শেষে সড়কটি ১০ ফুট থেকে ১৮ ফুট বর্ধিতকরণের কাজ শুরু হয়। নির্মাণকাজ শুরুর পর থেকে সিডিউল অনুযায়ী কাজ না করা ও নিম্মমানের উপকরণ ব্যবহার করাসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

মঙ্গলবার শহীদ জালাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সড়কটি পরিদর্শনকালে দেখা যায় বর্ধিত অংশের একাধিক স্থান দেবে গেছে। আবার কোথাও ধ্বসে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ফোরকান প্যাদা ও মোকছেদুল ইসলাম বলেন, নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের দুই পাশে পাইলিং প্রয়োজন হলে সড়ক নির্মাণের আগেই তা করতে হয়। কিন্তু ঠিকাদার সড়কের সাববেইজ ও ম্যাকাডাম করার পর পাইলিং নির্মাণ করেছেন। এরপর ইট ভাঙার ডাস্ট দিয়ে রোলার মেশিন ব্যবহার না করেই কার্পেটিং করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী কথা বলতে গেলেই ঠিকাদারের লোকজন ধমক দিয়ে নিবৃত করেছেন।

তারা আরো বলেন, কাজে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় কার্পেটিং করার পরের দিনই একাধিক স্থানে ধ্বসের সৃষ্টি হয়েছে। এবং রোববার কার্পেটিং করা হয় আর সোমবারই ধ্বসে পড়ে।

নুরুল ইসলাম নামের অপর এক ব্যাক্তি বলেন, এভাবে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা মেনে নেওয়া যায় না। সিডিউল না মেনে নিম্মমানের উপকরণ দিয়ে নাম মাত্র কাজ করা হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্মানকাজে নিয়োজিত কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ১০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই অংশের ৬৬৮৫ মিটার সড়কের নির্মাণ কাজ করছেন খায়রুল কবির রানা নামের একজন নির্মাতা। আমাদেরকে যেভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয় সেভাবেই আমরা কাজ করছি।

অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আবুল কালাম বলেন, যে অংশ ধ্বসে পড়েছে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।

এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গাইন বলেন, কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হতেই পারে। এখন পর্যন্ত ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা হয়নি। যেখানে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেখানে ঠিকাদারকে দিয়ে কাজ আদায় করার পরই বিল দেওয়া হবে।