নীলফামারীর জলঢাকায় মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে ও পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ব্যবসায়ির সংবাদ সম্মেলন।
বুধবার বিকালে উপজেলার আউলিয়াখানা ব্রীজ সংলগ্ন জবান এন্ড সন্সের মালিক ব্যবসায়ি আসাদুল হক মাষ্টার তার কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আসাদুল হক মাষ্টার লিখিত বক্তব্যে বলেন, জলঢাকায় দৈনিক মানবজমিন ও যুগের আলো পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শাহজাহান বাদশা ওরফে ‘জিনের বাদশা’- সাংবাদিক পরিচয়ে বাদশা শাহজাহান গত তিন বছর ধরে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রকল্প এবং ব্যক্তিগত বাড়ি নির্মাণের কথা বলে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে ইট, বালু ও সিমেন্ট নিয়েছেন। তবে এসব পণ্যের দাম ৬৩ লাখ টাকা। এসব মাল বাকীতে নিয়ে সে টাকা ফেরত না দেওযার অভিযোগ করেন তিনি।
আসাদুল মাস্টার আরো বলেন, এ টাকা আদায়ের জন্য তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, সহ পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতিকার চেয়ে । একপর্যায়ে জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জের কক্ষে বসে বিষয়টি আপোস মীমাংসা করার জন্য শাহজাহান বাদশা নিজ স্বাক্ষর যুক্ত ইসলামী ব্যাংকের জলঢাকা শাখার তিনটি চেক প্রদান করেন।
কিন্তু ব্যাংকে চেক জমা দিলে দেখা যায়, ব্যাংকের হিসাবে জমা দেওয়া স্বাক্ষর চেকের স্বাক্ষরের সাথে মিলছে না! তা ভুয়া স্বাক্ষর। অর্থাৎ চেক দিলে চেক ডিজঅনার হয়।এতে তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে জানান।
তিনি জানান, আমি বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা ফেরত চাইলেই শাহজাহান বাদশা নানা অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা শাহজাহান বাদশার বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান। তারা বলেন, একজন সাংবাদিকের দায়িত্ব সত্য প্রকাশ করা, কিন্তু সেটা না করে শাহজাহান বাদশা নিজেই প্রতারণায় লিপ্ত।