ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বিমানবিকীকরণ (অমানবিকীকরণ) প্রকল্প নিয়ে একাডেমিক পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করি। কারণ, নিছক তুড়ি মেরে ফ্যাসিবাদ বা কর্তৃত্ববাদ কায়েম করা সম্ভব নয়। বরং এ ক্ষেত্রে বিমানবিকীকরণ প্রক্রিয়া কীভাবে সহায়ক ভূমিকায় ক্রিয়াশীল থাকে, তা গবেষণার দাবি রাখে।
প্রতিপক্ষকে নিয়ন্ত্রণকল্পে তার অধিকার হরণের ক্ষেত্রে বিমানবিকীকরণই কর্তৃত্ববাদের সহজ অবলম্বন। মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী ড. জর্জ ইয়াঞ্চে তার ‘Dehumanizing Christians: Cultural Competition in a Multicultural World বইয়ে লিখেছেন, Dehumanization indicates that the reason why the authoritarian power is being abused is not only for the sake of authoritarian control but to control the out-group members particular individuals have dehumanized. Once a group is dehumanized, it becomes easy to use authoritarian power to take away the rights of members in that group.’ (Page : 36). (অর্থাৎ, বিমানবিকীকরণ এটা ইঙ্গিত করে যে, ক্ষমতার অপব্যবহারের নেপথ্যে শুধু কর্তৃত্ববাদ টিকিয়ে রাখাই নয়, বিমানবিকীকরণের শিকার প্রতিপক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যও কাজ করে। কোনো গোষ্ঠীকে একবার বিমানবিকীকরণ করা গেলে সেই গোষ্ঠীর অধিকার কেড়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতা ব্যবহার করা সহজ হয়।)
শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদ ও কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের নানাভাবে বিমানবিকীকরণ করেছিলেন। বিশেষ করে দেশের প্রতিবাদী আলেম-ওলামা ও জামায়াত-শিবির ছিল তার বিমানবিকীকরণ প্রকল্পের মূল টার্গেট।
হাসিনার শাসনামলজুড়ে আমরা দেখেছিলাম, পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে প্রধানত আপসহীন আলেম-ওলামা ও জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
সেই সঙ্গে তাদের ডিহিউম্যানাইজ বা বিমানবিকীকরণ করার প্রক্রিয়ায় একদল মিডিয়াকে নিপীড়ক রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগী হিসেবে প্রচারযন্ত্রের ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছিল। গণসম্মতি উৎপাদনের কাজটা তারা নিরবচ্ছিন্নভাবে করেছিল। না বললেই নয়, মূলত আমেরিকার ওয়্যার অন টেরর নীতির সুযোগেই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও ইসলামবিদ্বেষী মার্সেনারি মিডিয়ার যৌথ প্রযোজনায় আলেমসমাজ ও জামায়াত-শিবিরকে বিমানবিকীকরণ করার প্রকল্প সহজ হয়েছিল।
এখন প্রশ্ন হলো, বিমানবিকীকরণ বলতে ঠিক কী বোঝায়? নিউ ইংল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. ডেভিড লিভিংস্টোন স্মিথ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত তার ‘n Inhumanity: Dehumanization and How to Resist It বইয়ে লিখেছেন, ‘To dehumanize others is to think of them not merely as inferior human beings, but as subhuman creatures.’ (Page : 22) (অর্থাৎ, অন্যপক্ষকে ডিহিউম্যানাইজ করার মানে তাদের শুধু নিকৃষ্ট মানুষ হিসেবেই ভাবা নয়, বরং অর্ধ-মানুষ প্রজাতি হিসেবেও দেখা।) এক কথায়, বিমানবিকীকরণ তখনই ঘটে, যখন নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর মানবাধিকার অস্বীকার বা হরণ করা হয় এবং তাদের কর্তাসত্তা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, ভিন্নমত চর্চা ও সভা-সমাবেশের অধিকারও প্রত্যাখ্যান করা হয়। সমাজের কোনো পক্ষ বা গোষ্ঠীকে ‘অপর’ করে রাখাই হলো ডিহিউম্যানাইজেশন। প্রতিবাদী আলেম-ওলামা ও জামায়াত-শিবিরের ক্ষেত্রে এই রাজনৈতিক বিমানবিকীকরণ ঘটিয়েছিল হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রযন্ত্র এবং তার সহযোগী মার্সেনারি মিডিয়া। ১৫ বছর ধরে আলেম-ওলামা ও জামায়াত-শিবিরের প্রতি এমন অমানবিক এবং বর্বর নির্যাতন করা হয়েছিল যেন তারা ‘না-মানুষ’ বা ‘ঊনমানুষ’!
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত আমেরিকার ওরিগন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও যোগাযোগ বিভাগের এক গবেষণায় বিমানবিকীকরণের চারটি তত্ত্ব বা পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়। সেসবের আলোকে দেশের আলেম-ওলামা ও জামায়াত-শিবিরের ওপর হওয়া বিমানবিকীকরণের অবস্থা পর্যালোচনা করা দরকার। প্রথমটি হলো পরোক্ষ বিমানবিকীকরণ (infra-humanization theory)।
এই তত্ত্বের মানে অন্যপক্ষের অপমানবোধ তথা সেকেন্ডারি অনুভূতিগুলো অগ্রাহ্য বা অস্বীকার করা। আমরা দেখতাম, কারাবন্দি আলেম-ওলামা ও জামায়াত-শিবির নেতাদের হাতে দড়ি, পায়ে ডান্ডাবেড়ি, গায়ে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট ও হেলমেট পরিয়ে জনপরিসরে ভয়ংকর ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে হাজির করা হতো; আবার কখনো গ্রেপ্তারের পর সাধারণ ইসলামি বইপত্রকে ‘জিহাদি বই’ বলে মিডিয়ার সামনে তাদের ‘জঙ্গি’ হিসেবে অপবাদ দেওয়া হতো। তখন তাদের মধ্যে যে অপমানবোধ ও ক্ষোভ তৈরি হতো, তা অগ্রাহ্য করার মাধ্যমে রাষ্ট্র তাদের একধরনের বিমানবিকীকরণ ঘটাত। এ ছাড়া মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চরিত্র হনন ও মানবিক মর্যাদা ধূলিসাৎ করার প্রচেষ্টাও এই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর মাওলানা মামুনুল হকের ক্ষেত্রে আমরা তেমনটাই দেখেছিলাম।
২০২১ সালে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি ঘটনায় তাকে কলঙ্কিত করতে দালাল মিডিয়ার সংঘবদ্ধ শিকারি-সাংবাদিকতাও স্মরণযোগ্য।
দ্বিতীয়টি হলো, দ্বি-মাত্রিক মনুষ্যতা (dual perspective of humanness) এটির প্রথম ধাপে বোঝায়, কিছু মানুষকে যখন মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয় না, তখন তাদের কোনো পরিশুদ্ধতা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, বুদ্ধিবৃত্তি ও যুক্তিবোধ আছে বলে মনে করা হয় না। এ ক্ষেত্রে তাদের প্রতি বিভিন্ন ঘৃণামূলক ও অপমানসূচক ট্যাগ দেওয়া হয়। আলেম-ওলামাকে সব সময় ‘জঙ্গি’ ও ‘মৌলবাদী’ আর জামায়াত-শিবিরকে ‘রাজাকার’ ও ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি’ ইত্যাদি ট্যাগ দিয়ে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হতো। তাদেরও যে পাল্টা বক্তব্য বা যুক্তি থাকতে পারে কিংবা তাদেরও যে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ থাকা উচিত, সেটি স্বীকার করা হতো না।
এমনকি গত বছরের জুলাইতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ অভিহিত করে তাদের দমন-পীড়নের বৈধতা তৈরির চেষ্টা করেন স্বৈরাচারী হাসিনা। যাই হোক, এই তত্ত্বের দ্বিতীয় ধাপে বোঝায়, মানুষের মনুষ্যপ্রকৃতি (human nature) যখন অস্বীকার করা হয়, তখন আসলে তাদের অধিকারহীন নিম্নবর্গীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয়। আয়নাঘরের বন্দিদের বীভৎস নির্যাতনের ঘটনাবলি আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি।
এ ছাড়া মনে পড়ে, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের লাখো জমায়েতের ওপর বিদ্যুৎ নিভিয়ে রাতের অন্ধকারে নৃশংস গণহত্যা চালানো হয়।
সে সময় ট্রিগারহ্যাপী পুলিশ ও আওয়ামী গুন্ডাদের বিরুদ্ধে হেফাজতের ন্যায্য গণপ্রতিরোধকে ‘তাণ্ডব’ আখ্যা দিয়ে প্রকারান্তরে ৫ মের গণহত্যার সম্মতি উৎপাদন করেছিল প্রগতিশীল নামধারী একদল মিডিয়া। এ ছাড়া কোনো বিচার-বিবেচনা ছাড়াই আলেম-ওলামা ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের যখন-তখন গ্রেপ্তার, গুম-খুন ও জেল-জুলুমে বিপর্যস্ত করা ছিল নিয়মিত ঘটনা। তাদের ছিটাফোঁটা মানবাধিকারও দেখা হতো না।
লক্ষ্মীপুরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডাক্তার ফয়েজ আহমদকে তার বাড়ির ছাদে নিয়ে গুলি করে ছাদ থেকে নিচে ফেলে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল র্যাব সদস্যরা। বিরোধী পক্ষকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনায় এই বিমানবিকীকরণ প্রকল্প এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, শিবির সন্দেহে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে সারা রাত পিটিয়ে মেরেছিল ছাত্রলীগ। একই অভিযোগে নিরীহ দর্জি বিশ্বজিৎকেও দিনের আলোয় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এমন ভয়ানক বিমানবিকীকরণের শিকড় সমাজ ও রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তৃতীয় তত্ত্বটি হলো, উপলব্ধিগত বিমানবিকীকরণ (dehumanized perception) অর্থাৎ, ভিন্নমতাবলম্বীর চিন্তাধারা ও মন-মানসিকতা বুঝতে না চাওয়া। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর একশ্রেণির সেক্যুলার প্রগতিশীল বাম সব সময় আলেম-ওলামার দাবি-দাওয়া ও চিন্তাভাবনাকে ‘পশ্চাৎপদ’ ও ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলে প্রান্তিক বা অপর করে রাখত। ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রযন্ত্র ও মার্সেনারি মিডিয়া তাদের ন্যায্য প্রতিবাদ-বিক্ষোভকেও থোড়াই কেয়ার করত।
সমাজের মূলধারাকে তাদের প্রতি সন্দেহপ্রবণ ও বিকারহীন করে রাখার সব চেষ্টাই ছিল বিদ্যমান। অন্যদিকে, স্বাধীন বাংলাদেশ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান আমলে নেওয়া হতো না। শিবিরের তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক চেতনায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ধারণের বিষয়টিকে মূল্য দেওয়া হয়নি। তাদের বর্তমান ভাবনাচিন্তা উপেক্ষা করার মাধ্যমেও তাদের প্রতি একধরনের বিমানবিকীকরণমূলক আচরণ প্রকাশ পায়। চতুর্থ তত্ত্ব গরহফ Mind perception framework- এর আলোকে আমরা বুঝতে পারি যে, আলেমসমাজ ও জামায়াত-শিবিরেরও যে নিজস্ব রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক এজেন্সি ও অভিজ্ঞতা থাকতে পারে, তা অস্বীকার করা। মানুষ হিসেবে তাদের চিন্তা ও অভিজ্ঞতায় যে স্বাতন্ত্র্য আছে, তা প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমেও তাদের বিমানবিকীকরণ ঘটে।
ড. স্মিথ তার ওই বইয়ে বিমানবিকীকরণের পেছনে রাজনৈতিক শক্তির ভূমিকা ও মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়াকে চিহ্নিত করেছেন। ফলে বিমানবিকীকরণ মোকাবিলায় পাল্টা রাজনৈতিক তৎপরতা ও মনস্তাত্ত্বিক সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘You cannot combat the spread of dehumanizing beliefs without taking political action. At the very least you have to combat it in small ways in daily life, calling it out where you see it, objecting when people you speak to or people who represent you employ its dangerous rhetoric, and, crucially, opposing it in the voting booth’ (Page: 185). (অর্থাৎ, রাজনৈতিক তৎপরতা ছাড়া আপনি বিমানবিকীকরণের প্রসার ঠেকাতে পারবেন না। অন্ততপক্ষে আপনাকে দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট পরিসরে এর মোকাবিলা করতে হবে। যেখানে এটির উপস্থিতি পান, সেখানেই সমালোচনায় সরব হন। যারা জনপ্রতিনিধিত্ব করেন, তারা যদি বিমানবিকীকরণের পক্ষে বিপজ্জনক বক্তব্য দেন, তখন প্রতিবাদ করুন এবং ভোটকেন্দ্রে এর জবাব দিন।)
ট্যাগিং ও অপরায়নের রাজনীতি ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিমানবিকীকরণ প্রকল্পের অংশ। তার আমলের রাজনৈতিক বিমানবিকীকরণের প্রভাব থেকে আমরা এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পেরেছি বলা যায় না। কারণ হাসিনা-যুগ পার করা সত্ত্বেও আমরা একটি বড় রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাকে দেখেছি প্রতিপক্ষকে ‘মৌলবাদী’ বলে হুংকার ছাড়তে। এমনকি সম্প্রতি বইমেলার একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই অন্তর্বর্তী সরকারের এক তরুণ উপদেষ্টাকেও দেখা গেছে আদ্যোপান্ত না জেনে তৌহিদি জনতাকে ‘মব’ আখ্যা দিয়ে উগ্র ভাষায় হুমকি-ধমকি দিতে। যদিও পরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ওই ঘটনার মূল উসকানিদাতা প্রগতিশীল গোষ্ঠীকে একই ভাষায় ‘সতর্ক’ করার সাহস তিনি দেখাতে পারেননি।
এর মানে হলো, তৌহিদি জনতাকে হাসিনার আমলে যেভাবে ডিহিউম্যানাইজ করা হয়েছিল, তার প্রভাব এখনো কারো কারো মধ্যে রয়ে গেছে। এ ছাড়া সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তোলা একটি ভাইরাল ছবিতে দেখা গেছে, বন্দি এক নিরীহ তরুণ আলেমকে হাতকড়া পরানো অবস্থায় আদালতে নেওয়া হচ্ছে। পক্ষান্তরে, আদালতে আনা-নেওয়ার সময় গণহত্যাকারী হাসিনার দোসর কিছু বন্দি হেভিওয়েট সাবেক মন্ত্রীদের পরিপাটি পোশাকসহ বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেছে।
তাদের হাতে-পায়ে কোনো দড়ি বা ডান্ডাবেড়িও দেখা যায়নি। সুতরাং, এতে বোঝা যায়, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে রাষ্ট্র যেই নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে ডিহিউম্যানাইজ করেছিল, তা এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। ড. স্মিথের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলি, যেখানেই বিমানবিকীকরণের লক্ষণ বা প্রচেষ্টা দেখা যাবে, সেখানেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ জানাতে হবে। বিশেষত নতুন ছাত্র নেতৃত্বের রাজনৈতিক ভূমিকাই পারে বিমানবিকীকরণের প্রভাব থেকে রাষ্ট্র ও সমাজকে মুক্ত করতে।