Site icon দৈনিক টার্গেট

রমজান শেষে মুমিন মুসলমানদের করণীয়

পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের জীবনে একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরে ঈদুল ফিতরের আনন্দ উৎযাপন করা হয়, তবে এ সময়ে কিছু কাজ রয়েছে যা একজন মুমিন মুসলমানের ঈমানকে আরও দৃঢ় করতে পারে।

১. তাকওয়া বজায় রাখা

রমজানের মূল শিক্ষা হলো আত্মসংযম ও তাকওয়া অর্জন। রমজান মাসে আমরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকি। তাই রমজানের পরেও এই তাকওয়া ও সংযম বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২. শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখা

রমজানের পর শাওয়াল মাসে ছয়টি নফল রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখে, সে যেন পুরো বছর রোজা রাখল (সহিহ মুসলিম)।

৩. নামাজ ও কোরআন পড়া চালিয়ে যাওয়া

রমজানে মুসলমানরা নামাজ ও কোরআন পড়ার প্রতি অধিক যত্নশীল থাকেন। রমজান শেষ হওয়ার পরেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করা এবং কোরআন পড়ার অভ্যাস ধরে রাখা উচিত।

৪. সাদকাহ ও দান-খয়রাত করা

রমজানে আমরা অসহায় গরিবদের দান-খয়রাত করতে শিখি। তাই শুধু রমজানেই নয়, সারা বছর দান-খয়রাত চালিয়ে যেতে হবে। গরিব-দুঃখীদের সহায়তা করা আমাদের ঈমানেরই অংশ।

৫. খারাপ অভ্যাস পরিহার করা

রমজানের সময় আমরা মিথ্যা কথা, পরনিন্দা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকি। এ ভালো অভ্যাসগুলোকে রমজানের পরেও সবার জন্য চালিয়ে যাওয়া উচিত।

৬. আত্মশুদ্ধি ও দোয়া করা

রমজানের পর নিয়মিত দোয়া ও ইস্তিগফার করা উচিত, যাতে আমরা সবসময় আল্লাহর পথে থাকতে পারি।

৭. ঈদের পর আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা

ঈদুল ফিতর হলো খুশির দিন, যাহা আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীদের সাথে মিলেমিশে উদযাপন করা হয়। এই সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে।

রমজানের শিক্ষা কেবল এই রমজান মাসের জন্য নয়, বরং সারা জীবন এটি চালিয়ে যাওয়া উচিত। তাকওয়া, সংযম, ইবাদত, দান-খয়রাত ও ভালো অভ্যাসগুলোকে জীবনের অংশ করে তুলতে পারলেই রমজানের মূল শিক্ষা বাস্তবায়িত হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই শিক্ষা গ্রহণের তৌফিক দান করুন। আমিন।

Exit mobile version