উৎসবমুখর পরিবেশে দেশজুড়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৮:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ৪৯ বার পঠিত হয়েছে

আজ দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নতুনভাবে বছরকে বরণ করে নিচ্ছে বাঙালি জাতি।

সকাল থেকেই রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। পাঞ্জাবি, শাড়ি আর নানা রঙের ফুলে সজ্জিত হয়ে হাজারো মানুষ অংশ নেয় এই সাংস্কৃতিক জমায়েতে। ছায়ানটের পরিবেশনা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকজ গান, নৃত্য এবং আবৃত্তি।

শোভাযাত্রা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় অংশ নেয় নানা রঙের মুখোশ, পুতুল ও ব্যানার নিয়ে হাজারো মানুষ। ইউনেস্কো স্বীকৃত এই শোভাযাত্রা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন।

দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলা, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, খাবার উৎসব এবং শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মতো।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা  বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, নতুন বছর জাতির জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি বয়ে আনবে।

নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকাসহ প্রধান শহরগুলোতে বাড়ানো হয় টহল ও নজরদারি।

এই দিনে ঐতিহ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান “হালখাতা” পালন করে, যেখানে পুরনো হিসাব চুকিয়ে নতুন খাতা খোলা হয়। ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করান।

বাংলা নববর্ষ কেবল একটি নতুন ক্যালেন্ডার বছরের সূচনাই নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির গভীর শিকড়ের সাথে জড়িত একটি উৎসব।

উৎসবমুখর পরিবেশে দেশজুড়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন

প্রকাশ: ০৮:০৯:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

আজ দেশজুড়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নতুনভাবে বছরকে বরণ করে নিচ্ছে বাঙালি জাতি।

সকাল থেকেই রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। পাঞ্জাবি, শাড়ি আর নানা রঙের ফুলে সজ্জিত হয়ে হাজারো মানুষ অংশ নেয় এই সাংস্কৃতিক জমায়েতে। ছায়ানটের পরিবেশনা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে লোকজ গান, নৃত্য এবং আবৃত্তি।

শোভাযাত্রা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে। ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’য় অংশ নেয় নানা রঙের মুখোশ, পুতুল ও ব্যানার নিয়ে হাজারো মানুষ। ইউনেস্কো স্বীকৃত এই শোভাযাত্রা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন।

দেশের বিভিন্ন জেলায় স্থানীয় প্রশাসন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মেলা, হস্তশিল্প প্রদর্শনী, খাবার উৎসব এবং শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক কার্যক্রম ছিলো চোখে পড়ার মতো।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা  বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, নতুন বছর জাতির জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি বয়ে আনবে।

নববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকাসহ প্রধান শহরগুলোতে বাড়ানো হয় টহল ও নজরদারি।

এই দিনে ঐতিহ্য অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান “হালখাতা” পালন করে, যেখানে পুরনো হিসাব চুকিয়ে নতুন খাতা খোলা হয়। ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করান।

বাংলা নববর্ষ কেবল একটি নতুন ক্যালেন্ডার বছরের সূচনাই নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির গভীর শিকড়ের সাথে জড়িত একটি উৎসব।