গত এক মাসেই দেশে ২২ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন।

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে উত্তরায় বসবাসরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণখান এলাকায় চোরাই পণ্য ও মাদকচক্রের গোপন তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন চ্যানেল এস-এর জনভোগান্তি ও অনুসন্ধান মুলক অনুষ্ঠান ‘কে শুনে কার কথা’-এর সাংবাদিকরা। হামলায় গুরুতর আহত হন তরিক শিবলী, শান্ত মাহমুদ ও রাব্বি নূর। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান ও শাকিল আল ফারুকীও হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগে বক্তারা বলেন- হামলাকারীরা হামলা চালিয়ে চ্যানেল এস’এর ক্যামেরা ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজসহ মেমোরি কার্ডটি ছিনিয়ে নেয়, যার মধ্যে মাদকের বিভিন্ন লেনদেন এবং চোরাই পণ্যের প্রমাণ ছিল। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

স্থানীয় সাংবাদিকরা আশরাফ আলী দেড়শ রূপান্তর ও গ্লোবাল টিভি বলেন, “এই হামলা শুধু সাংবাদিকদের ওপর নয়, গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”

ফরিদ আহমেদ নয়ন এশিয়ান টিভি বলেন, “সাংবাদিকদের উপর বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসেই দেশে ২২ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। এই বিচারহীনতা বন্ধ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।”

বক্তারা অভিযোগ করেন, উত্তরায় কিছু স্বঘোষিত সাংবাদিক একটি ক্লাব গড়ে তুলেছেন, যারা অসাধু ব্যবসায়ী ও অপরাধচক্রের সঙ্গে আঁতাতে জড়িত। তাদের কারণে এলাকায় অপরাধের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বক্তারা অবিলম্বে ‘অপসংবাদিকতা বন্ধ এবং প্রকৃত সাংবাদিকদ নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাণের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব এর সভাপতি জাকারিয়া আল-মামুন, বিএম এর মাসিক হাসান সহ শতাধিক টেলিভিশন ও পত্রিকা সাংবাদিকগণ।

উল্লেখ্য  দক্ষিণখান  থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হলেও ১জন ছাড়া অন্য কোন হামলাকারী এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। সাংবাদিকরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণ-মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি  দিলেও মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা এখনো চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।

জনপ্রিয় টার্গেট

গত এক মাসেই দেশে ২২ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন।

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৭:৩৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে উত্তরায় বসবাসরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণখান এলাকায় চোরাই পণ্য ও মাদকচক্রের গোপন তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন চ্যানেল এস-এর জনভোগান্তি ও অনুসন্ধান মুলক অনুষ্ঠান ‘কে শুনে কার কথা’-এর সাংবাদিকরা। হামলায় গুরুতর আহত হন তরিক শিবলী, শান্ত মাহমুদ ও রাব্বি নূর। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান ও শাকিল আল ফারুকীও হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

অভিযোগে বক্তারা বলেন- হামলাকারীরা হামলা চালিয়ে চ্যানেল এস’এর ক্যামেরা ও বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজসহ মেমোরি কার্ডটি ছিনিয়ে নেয়, যার মধ্যে মাদকের বিভিন্ন লেনদেন এবং চোরাই পণ্যের প্রমাণ ছিল। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

স্থানীয় সাংবাদিকরা আশরাফ আলী দেড়শ রূপান্তর ও গ্লোবাল টিভি বলেন, “এই হামলা শুধু সাংবাদিকদের ওপর নয়, গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”

ফরিদ আহমেদ নয়ন এশিয়ান টিভি বলেন, “সাংবাদিকদের উপর বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসেই দেশে ২২ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। এই বিচারহীনতা বন্ধ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।”

বক্তারা অভিযোগ করেন, উত্তরায় কিছু স্বঘোষিত সাংবাদিক একটি ক্লাব গড়ে তুলেছেন, যারা অসাধু ব্যবসায়ী ও অপরাধচক্রের সঙ্গে আঁতাতে জড়িত। তাদের কারণে এলাকায় অপরাধের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বক্তারা অবিলম্বে ‘অপসংবাদিকতা বন্ধ এবং প্রকৃত সাংবাদিকদ নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাণের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাব এর সভাপতি জাকারিয়া আল-মামুন, বিএম এর মাসিক হাসান সহ শতাধিক টেলিভিশন ও পত্রিকা সাংবাদিকগণ।

উল্লেখ্য  দক্ষিণখান  থানায় এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হলেও ১জন ছাড়া অন্য কোন হামলাকারী এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি। সাংবাদিকরা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গণ-মাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি  দিলেও মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা এখনো চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।