আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস: শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও সম্মানের দিন

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১১:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
  • ৮১ বার পঠিত হয়েছে

চাঁদপুরের এক ব্যক্তি মাছের জাল নিয়ে হাঁটছেন

আজ ১লা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের স্মরণে পালিত হয়।

১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হাজার হাজার শ্রমিক একত্র হয়ে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। সেই আন্দোলন রক্তাক্ত হলেও শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পথ খুলে দিয়েছিল। আজ সেই চেতনার আলোতেই পালিত হচ্ছে ‘মে দিবস’।

দিনটি উপলক্ষে আজ দেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হচ্ছে মে দিবস।

রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণীতে দেশের শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান অপরিসীম এবং তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শ্রম বিষয়ক উপদেষ্টার মন্তব্য:

এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, “শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা না গেলে দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শ্রমিকদের জন্য নতুন নতুন প্রশিক্ষণ, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি মালিক পক্ষেরও দায়িত্ব রয়েছে শ্রমিকদের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করার।”

শ্রমিকদের অনেকেই বলছেন, এখনো বহু ক্ষেত্রে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। দৈনিক মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা, শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের আরো কার্যকর পদক্ষেপ দরকার।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, মে দিবস শুধু এক দিনের আনুষ্ঠানিকতা নয়-বরং এটি একটি প্রতিজ্ঞা, শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্যতা ও মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন।

জনপ্রিয় টার্গেট

আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস: শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও সম্মানের দিন

প্রকাশ: ১১:৪০:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫

আজ ১লা মে, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। এটি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে এক ঐতিহাসিক প্রতিবাদের স্মরণে পালিত হয়।

১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে হাজার হাজার শ্রমিক একত্র হয়ে ৮ ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। সেই আন্দোলন রক্তাক্ত হলেও শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পথ খুলে দিয়েছিল। আজ সেই চেতনার আলোতেই পালিত হচ্ছে ‘মে দিবস’।

দিনটি উপলক্ষে আজ দেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হচ্ছে মে দিবস।

রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণীতে দেশের শ্রমজীবী মানুষদের প্রতি শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে শ্রমিকদের অবদান অপরিসীম এবং তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শ্রম বিষয়ক উপদেষ্টার মন্তব্য:

এ বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, “শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা না গেলে দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শ্রমিকদের জন্য নতুন নতুন প্রশিক্ষণ, নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি মালিক পক্ষেরও দায়িত্ব রয়েছে শ্রমিকদের সঙ্গে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করার।”

শ্রমিকদের অনেকেই বলছেন, এখনো বহু ক্ষেত্রে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। দৈনিক মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা, শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের আরো কার্যকর পদক্ষেপ দরকার।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, মে দিবস শুধু এক দিনের আনুষ্ঠানিকতা নয়-বরং এটি একটি প্রতিজ্ঞা, শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্যতা ও মর্যাদাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দিন।