Site icon দৈনিক টার্গেট

বাঘাইছড়িতে মাওলানা রইস উদ্দীনের হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়িতে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের ইমাম ও খতিব মাওলানা রঈস উদ্দিনের হত্যার প্রতিবাদে ও চিহ্নিত খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (০৭ মে) বেলা ১১ ঘটিকা বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ সম্মুখে বাঘাইছড়ি ইমাম,মুয়াজ্জিন সংহতি পরিষদ ও আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়তের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

উপজেলা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল বারী’র সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শাখার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ও বাঘাইছড়ি ইমাম মোয়াজ্জিন সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা হাফেজ কাউছার উদ্দিন নূরী।

এতে বক্তব্য রাখেন মাস্টার পাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আতাউর রহমান,উগলছড়ি দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাফেজ সাইফুল ইসলাম,মধ্যম পাড়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রবিউল ইসলাম,রাঙ্গামাটি জেলা শাখার আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সদস্য, মাওলানা রশির উদ্দিন আনছারী।

উক্ত মানববন্ধনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, আলেম-ওলামা, তৌহিদি জনতা ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,–এই নির্মম হত্যার সাথে ২টি পক্ষ সরাসরি জড়িত, স্থানীয় গ্রুপ যারা মব তৈরি করেছে এবং অকথ্য নির্যাতন চালিয়েছে,এবং পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ, যারা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা থেকে তাঁকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করেছে। যদি পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ থেকে যথাসময়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হতো তাহলে হয়তো আজকে এমন নির্মম হত্যার মুখোমুখি হতে হতো না। আমরা এই হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

“মাওলানা রইস উদ্দীন” ছিলেন একজন সৎ, শান্তিপ্রিয় ও দ্বীনদার আলেম। তাঁর নির্মম হত্যাকাণ্ড গোটা জাতিকে স্তম্ভিত করেছে।” বক্তারা অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বক্তারা আরও বলেন, “এই হত্যাকাণ্ড নিছক ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নয়; বরং এটি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আলেম সমাজের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন, যদি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার না হয়, তবে সারাদেশে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

পরিশেষে “মাওলানা রইস উদ্দিনের” আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর এ-র সুষ্ঠু বিচার কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

Exit mobile version