বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সকল মামলা থেকে দণ্ড ও সাজা থেকে মুক্ত হয়েছেন। আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এক ঐতিহাসিক রায়ে তার বিরুদ্ধে থাকা সব অপরাধমূলক মামলায় দণ্ড বাতিল এবং তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন সকল অভিযোগ খারিজ করে দেয়।

সকাল ১০টায় প্রধান বিচারপতি মোঃ ফজলে কবিরের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়, “আসামিপক্ষের উপস্থাপিত তথ্য-প্রমাণ, সাক্ষ্য এবং আইনগত যুক্তি বিবেচনায় সকল মামলা থেকে তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া হলো। এর ফলে তার বিরুদ্ধে আর কোনো দণ্ড বা সাজা কার্যকর থাকল না।”

এর আগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং এবং রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত মামলা চলমান ছিল। ২০০৮ সাল থেকে তিনি যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে অবস্থান করছেন। এ রায়ের পর তার দেশে ফেরার পথ অনেকটাই সুগম হলো বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বিএনপি’র প্রতিক্রিয়া:

রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এটি সত্য ও ন্যায়বিচারের বিজয়। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারেক রহমানকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। আজ আদালতের রায়ে প্রমাণ হলো তিনি নির্দোষ।”

জনমনে প্রতিক্রিয়া:

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায় নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। বিএনপি সমর্থকরা রায়কে স্বাগত জানালেও অনেক সাধারণ নাগরিক এর ন্যায়সঙ্গততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ভবিষ্যতের পথ:

আইনজীবীদের ভাষ্যমতে, যেহেতু সব মামলা থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন, তাই তার দেশে ফিরে রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা থাকবে না।

এই রায়কে কেন্দ্র করে দেশের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।