রাজধানীর মানিকনগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান গ্যাস সংকটে সাধারণ মানুষ চরম ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এবং কখনো কখনো সন্ধ্যার পর পর্যন্ত গ্যাস না থাকায় রান্না-বান্নাসহ দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মানকে এক প্রকার স্থবির করে তুলেছে।
মানিকনগরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মাসের পর মাস গ্যাস সরবরাহে সংকটের কারণে বিভিন্ন ঘাটতি দেখা গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। অনেকে নিরুপায় ও বাধ্য হয়ে গ্যাসের বিকল্প হিসেবে ইলেকট্রিক চুলা, ইনডাকশন কুকার কিংবা সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন, যা একদিকে যেমন ব্যয়বহুল, অন্যদিকে কঠিন ঝুঁকিপূর্ণও।
স্থানীয় একজন গৃহিণী সাহেরা বেগম জানান প্রতিদিন সকালে বাচ্চাদের উপোস থেকে স্কুলে পাঠাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গ্যাস না থাকায় সময়মতো রান্না করা যায় না। বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে বাইরের খাবার কিনে খেতে দিতে হয়। ফলে বাচ্চারা ও স্কুল যেতে ভয় পায়।
আরেক বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার আগে নাস্তা করতে পারি না। রাত্রে বাসায় ফিরে আবার একই সমস্যা। এভাবে আর কতদিন চলবে থাকবে?
গ্যাসের এই সমস্যার প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষ এমনকি রোগীদের ওপরও। অনেক বাসায় ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধরা রয়েছেন, যারা সঠিক সময়ে গ্যাস না থাকায় রান্নার অভাবে খাবার না পেয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন।
এলাকাবাসীর দাবি করেন, তাড়াতাড়ি গ্যাস সংকটের সমাধান ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ গ্রহণ করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী এই সংকটের সমাধান না হলে তারা আন্দোলনের কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে থেকেও যদি নাগরিকরা তাদের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে প্রশ্ন ওঠে নাগরিক সেবার মান কতটা নিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। মানিকনগরবাসীর দাবির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে দ্রুত সমস্যার কার্যকর সমাধান এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দ্রুত মানিকনগরবাসী তিতাস গ্যাস কোম্পানি সহ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণের জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।