নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১১:০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • ৯০ বার পঠিত হয়েছে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ অবস্থা আরো দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। এছাড়াও আরো ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, আজ ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবারও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে আগামী শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেশ খানিকটা কমে আসতে পারে; বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতিমধ্যে বলেছে, নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোনো স্থানে ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলা হয়। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়ার বার্তায়। রাজধানীতেও সন্ধ্যা কিংবা সন্ধ্যার পর থেকে ভারী সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উপকূলের এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আজ সন্ধ্যা কিংবা রাত থেকে ভারীবর্ষণের প্রভাবে ঢাকা সিটি ও ঢাকার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা এবং চট্টগ্রামের অঞ্চলের পাহাড়ি জেলাগুলোতে জলাবদ্ধতাসহ পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশের চার বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ৫ জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারি এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতি ভারি বৃষ্টিপাত হিসেবে।

জনপ্রিয় টার্গেট

ঢাকায় ঠোঁট ও তালু কাটা শিশুদের বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার: ৬ দিনের বিশেষ চিকিৎসা মিশন শুরু

নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে

প্রকাশ: ১১:০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ অবস্থা আরো দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। এছাড়াও আরো ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের ৪ সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক বলেন, আজ ভোরের দিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এরফলে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবারও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে আগামী শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বেশ খানিকটা কমে আসতে পারে; বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ইতিমধ্যে বলেছে, নিম্নচাপের প্রভাবে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। কোনো স্থানে ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তাকে অতি ভারী বৃষ্টি বলা হয়। অতি ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি অঞ্চলগুলোয় পাহাড়ধসের আশঙ্কার কথাও বলা হয়েছে আবহাওয়ার বার্তায়। রাজধানীতেও সন্ধ্যা কিংবা সন্ধ্যার পর থেকে ভারী সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

উপকূলের এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আজ সন্ধ্যা কিংবা রাত থেকে ভারীবর্ষণের প্রভাবে ঢাকা সিটি ও ঢাকার পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা এবং চট্টগ্রামের অঞ্চলের পাহাড়ি জেলাগুলোতে জলাবদ্ধতাসহ পাহাড় ধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় দেশের চার বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সতর্কতা দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ৫ জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সক্রিয় সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে বুধবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারি এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতি ভারি বৃষ্টিপাত হিসেবে।