আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই মনোরম আবহাওয়ার মাঝে মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃষ্টি আর জুমার দিনের সম্মিলন ইসলামের দৃষ্টিতে এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এটি এমন একটি সময়, যখন দোয়া কবুল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
ইসলামী শরীয়তের আলোকে জুমার দিন এবং বৃষ্টির সময়-দু’টিই আলাদাভাবে ফজিলতপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলমান দাঁড়িয়ে নামাজে থাকে এবং আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ তা অবশ্যই কবুল করেন।”
(সহিহ বুখারি ও মুসলিম)
অন্যদিকে, বৃষ্টির সময়ও দোয়া কবুলের বিশেষ সুযোগ থাকে। হাদিসে বলা হয়েছে:
“দুটি সময়ে দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না-একটি হলো আজান দেওয়ার সময়, অপরটি হলো বৃষ্টির সময়।”
(মুস্তাদরাক হাকিম)
এই দুই সময় একত্রিত হলে তা হয়ে উঠে অত্যন্ত বরকতময়। তাই আজকের দিনের বৃষ্টির মাঝে যারা খুশু-খুজু সহকারে জুমার নামাজ আদায় করেছেন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন, তারা অনেক বড় সৌভাগ্যের অধিকারী।
বিশেষ পরামর্শ
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলেন, এ ধরনের সময়গুলোতে গুনাহ থেকে তাওবা, আত্মসমালোচনা, এবং নিরলস দোয়া করা উচিৎ। বৃষ্টির দিনে জুমার নামাজ কেবল ইবাদতের এক ফরমালতা নয়, বরং এটি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক অনন্য সুযোগ।
আবহাওয়ার প্রতিকূলতা অনেক সময় আমাদের ব্যস্ত করে রাখে। তবে একজন মু’মিনের জন্য প্রতিটি পরিস্থিতিই ইবাদতের মাধ্যম হতে পারে। আজকের বৃষ্টিভেজা জুমার দিনটি আমাদের জন্য হতে পারে আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অসাধারণ সুযোগ। তাই দোয়ার হাত তুলে প্রার্থনা করি-হে আল্লাহ! তুমি আমাদের দোয়া কবুল করো, আমাদের পাপ ক্ষমা করো, এবং আমাদের জীবনে বরকত দান করো।