সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০১:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • ৬৭ বার পঠিত হয়েছে

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন বিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সঙ্গে জড়িত পরিবার।

এই সিদ্ধান্তে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রামের সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতি ও সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কী খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন বন বিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিন মাস বেকার থাকতে হবে।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়তদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতি বলেন, সুন্দরবনে ৩ মাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়তদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবো। জেলেদের কাছে একেক জন আড়তদারের ১৫-২০ লাখ টাকা দাদন দেয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কীভাবে পরিশোধ করবে। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন বলেও জানান আড়তদাররা।

সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন (টোয়াস)-এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবার দারুণ অর্থ সংকটে পড়বে। এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন উপকার হবে না।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, মৎস্য সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে সুন্দরবনে কেউ যেতে পারবে না। খাদ্য সহায়তাসহ প্রণোদনা দেয়ার জন্য সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এমন জেলেদের তালিকা করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রিয় টার্গেট

একদিনে রেকর্ড ২৪৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে

সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি

প্রকাশ: ০১:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

পূর্ব সুন্দরবনের নদী-খালে তিন মাসের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ও পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সুন্দরবন বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন বিভাগের এ সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে অর্থসংকটে পড়বে কয়েক হাজার জেলে ও পর্যটনের সঙ্গে জড়িত পরিবার।

এই সিদ্ধান্তে সুন্দরবন সংলগ্ন শরণখোলা, বগী, খুড়িয়াখালী, সোনাতলা ও চালিতাবুনিয়া গ্রামের সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল জেলে পরিবারে হতাশা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

খুড়িয়াখালী গ্রামের জেলে জলিল হাং, শরণখোলা গ্রামের জেলে রুস্তম বয়াতি ও সোবহানসহ অনেক জেলে তাদের হতাশা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, আমরা এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কী খাবো। মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে সারা বছর সুন্দরবনের নদী খালে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। এখন বন বিভাগ মাছ ধরা বন্ধ করায় আমাদের তিন মাস বেকার থাকতে হবে।

শরণখোলা বাজারের মৎস্য আড়তদার জালাল মোল্লা ও তুহিন বয়াতি বলেন, সুন্দরবনে ৩ মাস মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণায় মৎস্য আড়তদাররা লাখ লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবো। জেলেদের কাছে একেক জন আড়তদারের ১৫-২০ লাখ টাকা দাদন দেয়া রয়েছে। মাছ ধরতে না পারলে জেলেরা টাকা কীভাবে পরিশোধ করবে। সুন্দরবনে প্রায় ২০ হাজার জেলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন বলেও জানান আড়তদাররা।

সুন্দরবন ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন (টোয়াস)-এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিট বলেন, তিন মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত দুই সহস্রাধিক পরিবার দারুণ অর্থ সংকটে পড়বে। এই নিষেধাজ্ঞায় বনের তেমন উপকার হবে না।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা তানভির হাসান ইমরান বলেন, ২৪ মে থেকে জেলে, মৌয়ালী ও পর্যটকদের সুন্দরবনে যাওয়ার পাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, মৎস্য সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে সুন্দরবনে কেউ যেতে পারবে না। খাদ্য সহায়তাসহ প্রণোদনা দেয়ার জন্য সুন্দরবনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এমন জেলেদের তালিকা করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে।