ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সুনামগঞ্জে তিনদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বাড়তে শুরু করেছে নদ নদীর পানি। হাওর হচ্ছে টইটম্বুর। দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, রবিবার ১ জুন দুপুরে সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পৌর শহরের ষোলঘর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১২৫ মিলিমিটার। একই সময়ে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শহর ঘুরে দেখা যায়, শহরে মানুষের আনাগোনা কম। গাড়িঘোড়া কম। দোকানপাঠ খুলে বসে আছেন বিক্রেতারা। ক্রেতার দেখা মিলছে না খুব। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হচ্ছেন না।
স্টেডিয়ামের পাশে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক সিএনজি গাড়ি সারি সারি করে রাখা আছে। এ সিএনজিগুলো প্রতিদিন যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। বৃষ্টির কারণে নেই কোনো যাত্রী। সিএনজি চালকরা অলস সময় পার করছেন।
চালক সাকিব হাসান জানান, সকাল থেকে সিএনজি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো যাত্রী নেই। গত দুদিন ধরে রুজি নাই। লাগাতার বৃষ্টি হলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়া ছাড়া পথ নেই আমাদের।
শহরে ফল বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজশাহী থেকে আম এনে বিক্রি করি। গত কদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় বিক্রি কমে গেছে। আমগুলোও প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে। এক চালানে পুরো লসের মধ্যে আছি।
ওয়েজখালীর শ্রমিক আলামিন হোসেন, সুরমা নদীর ঘাটে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন ৫০০-৬০০ টাকা রুজি করি। বৃষ্টির কারণে নৌকা আসে না। বালুও তোলা হয় না। খুব কষ্ট করে দিনাতিপাত করছি বলে জানান তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহি প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, ভারতের মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ও সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হওয়ায় জেলার নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জ সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। তবে আপাতত বন্যা হওয়ার শংকা নেই।