ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌরাত্ম্য কমাতে হবে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময়: ১১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪
  • ১১৫ বার পঠিত

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কৃষির কোনো বিকল্প নেই। পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভ্যালু চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করছেন। মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা করছেন। তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার: ভ্যালু চেইন উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসানুল ইসলাম টিটু এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমদানি-রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে খুব শিগগির ঢাকা চেম্বারের একটি পূর্ণাঙ্গ হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। যেখান থেকে ‘আইআরসি’ ও ‘ইআরসি’ সার্টিফিকেট প্রাপ্তির সব সুবিধা দেওয়া হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ ‘যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)’-এর সেবার সব কার্যক্রম পেপারলেস করা হবে, ফলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি হ্রাস পাবে।”

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে এ খাতের তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি করা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজ সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি খাতের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা খুবই অনেক উৎসাহব্যঞ্জক।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদনশীলতা ২০-৩০ শতাংশ বাড়ানো যায়। বর্তমানে এ খাতে সাপ্লাই চেইনের অপর্যাপ্ততা, বাজারে পণ্য প্রবেশাধিকারের সুযোগ না থাকা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিদ্যমান অবস্থা উত্তরণে কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন ও কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো, কৃষি গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, প্রয়োজনীয় সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং কার্যকর ভ্যালু চেইন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মোঃ জুনায়েদ ইবনে আলী, আইফার্মারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ, বাংলাদেশে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ঊর্ধ্বতন কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (এগ্রিকালচার ক্রেডিট ডিপার্টমেন্ট) ড. মোঃ আবু বাকের সিদ্দিকী প্রমুখ।

দৌরাত্ম্য কমাতে হবে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময়: ১১:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কৃষির কোনো বিকল্প নেই। পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে কার্যকর ভ্যালু চেইনের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছেন না, অন্যদিকে ভোক্তারা বেশি দামে পণ্য ক্রয় করছেন। মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা করছেন। তাদের দৌরাত্ম্য কমাতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘স্মার্ট এগ্রিকালচার: ভ্যালু চেইন উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসানুল ইসলাম টিটু এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমদানি-রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে খুব শিগগির ঢাকা চেম্বারের একটি পূর্ণাঙ্গ হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হবে। যেখান থেকে ‘আইআরসি’ ও ‘ইআরসি’ সার্টিফিকেট প্রাপ্তির সব সুবিধা দেওয়া হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ ‘যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)’-এর সেবার সব কার্যক্রম পেপারলেস করা হবে, ফলে ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি হ্রাস পাবে।”

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘দেশের কৃষকদের ব্যবহার উপযোগী করে এ খাতের তথ্যপ্রযুক্তি তৈরি করা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের তরুণ সমাজ সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি খাতের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে, যা খুবই অনেক উৎসাহব্যঞ্জক।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কৃষি খাতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদনশীলতা ২০-৩০ শতাংশ বাড়ানো যায়। বর্তমানে এ খাতে সাপ্লাই চেইনের অপর্যাপ্ততা, বাজারে পণ্য প্রবেশাধিকারের সুযোগ না থাকা এবং উৎপাদিত পণ্যের মূল্য সংযোজন প্রভৃতি সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিদ্যমান অবস্থা উত্তরণে কৃষি যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন ও কৃষকদের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানো, কৃষি গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, প্রয়োজনীয় সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন এবং কার্যকর ভ্যালু চেইন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহসভাপতি মোঃ জুনায়েদ ইবনে আলী, আইফার্মারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহাদ ইফাজ, বাংলাদেশে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ঊর্ধ্বতন কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক (এগ্রিকালচার ক্রেডিট ডিপার্টমেন্ট) ড. মোঃ আবু বাকের সিদ্দিকী প্রমুখ।