জিলহজের জুম্মা মোবারক: ঈদুল আযহার আগেরদিনে বাড়ছে ধর্মীয় উন্মাদনা ও আত্মত্যাগের প্রস্তুতি

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:৪৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • ৬৬ বার পঠিত হয়েছে

আজ পবিত্র জিলহজ মাসের শেষ জুম্মা মোবারক। আর আগামীকালই পালিত হবে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ফলে এ জুম্মা দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঈদের আগের এই জুম্মা মোবারকে দেশজুড়ে মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।

আজকের খুতবায় ইমামগণ ত্যাগ, তাকওয়া ও ঈদুল আযহার তাৎপর্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান প্রদান করেন। কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে তারা ব্যাখ্যা করেন, কুরবানির মাধ্যমে একজন মুমিন কিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে থাকেন।

এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে কুরবানির প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনা-বেচায় জমজমাট পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই আজকের দিনটিকেই কোরবানির পশু কেনার জন্য বেছে নিয়েছেন।

অপরদিকে, এই জুম্মার দিনে মুসল্লিরা নিজেদের আত্মিক পরিশুদ্ধির লক্ষ্যে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন ছিলেন। মসজিদে মসজিদে ছিল দোয়া মাহফিলের আয়োজন। অনেক মসজিদে ঈদের আগের দিন হওয়ায় বিশেষ খাস দোয়ার আয়োজনও করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিলহজের এই জুম্মা মুসলমানদের জন্য শুধু উৎসবের আগমনী বার্তাই নয়, বরং আত্মশুদ্ধি ও আত্মত্যাগের এক বিরল সুযোগ। ঈদের দিন পশু কুরবানির মাধ্যমে যে আত্মত্যাগের আদর্শ স্থাপন করা হয়, তার পূর্ণ প্রস্তুতি শুরু হয় ঠিক এই দিন থেকেই।

নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রশাসন থেকেও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পশুর হাট ও ঈদের জামাত ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

আগামীকাল ঈদুল আযহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানির পশু জবাই করবেন এবং তা বিতরণ করবেন গরিব-দুঃখীদের মাঝে। এর মধ্য দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী ছড়িয়ে পড়বে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

জনপ্রিয় টার্গেট

একদিনে রেকর্ড ২৪৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে

জিলহজের জুম্মা মোবারক: ঈদুল আযহার আগেরদিনে বাড়ছে ধর্মীয় উন্মাদনা ও আত্মত্যাগের প্রস্তুতি

প্রকাশ: ০২:৪৫:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

আজ পবিত্র জিলহজ মাসের শেষ জুম্মা মোবারক। আর আগামীকালই পালিত হবে মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ফলে এ জুম্মা দিনটি মুসলমানদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঈদের আগের এই জুম্মা মোবারকে দেশজুড়ে মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়।

আজকের খুতবায় ইমামগণ ত্যাগ, তাকওয়া ও ঈদুল আযহার তাৎপর্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান প্রদান করেন। কোরআনের আয়াত ও হাদিসের আলোকে তারা ব্যাখ্যা করেন, কুরবানির মাধ্যমে একজন মুমিন কিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করে থাকেন।

এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে কুরবানির প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনা-বেচায় জমজমাট পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই আজকের দিনটিকেই কোরবানির পশু কেনার জন্য বেছে নিয়েছেন।

অপরদিকে, এই জুম্মার দিনে মুসল্লিরা নিজেদের আত্মিক পরিশুদ্ধির লক্ষ্যে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন ছিলেন। মসজিদে মসজিদে ছিল দোয়া মাহফিলের আয়োজন। অনেক মসজিদে ঈদের আগের দিন হওয়ায় বিশেষ খাস দোয়ার আয়োজনও করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিলহজের এই জুম্মা মুসলমানদের জন্য শুধু উৎসবের আগমনী বার্তাই নয়, বরং আত্মশুদ্ধি ও আত্মত্যাগের এক বিরল সুযোগ। ঈদের দিন পশু কুরবানির মাধ্যমে যে আত্মত্যাগের আদর্শ স্থাপন করা হয়, তার পূর্ণ প্রস্তুতি শুরু হয় ঠিক এই দিন থেকেই।

নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় প্রশাসন থেকেও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পশুর হাট ও ঈদের জামাত ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

আগামীকাল ঈদুল আযহা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবানির পশু জবাই করবেন এবং তা বিতরণ করবেন গরিব-দুঃখীদের মাঝে। এর মধ্য দিয়ে সমাজে সাম্যের বাণী ছড়িয়ে পড়বে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।