দেশব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আজ পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হয়েছে। ত্যাগ ও কোরবানির মহিমায় উদ্ভাসিত এই দিনটি উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সকাল থেকেই ঈদের নামাজ আদায় এবং পশু কোরবানির মাধ্যমে পালন করে থাকেন।
আজ সকাল ৭টা থেকে দেশের বিভিন্ন মসজিদ, ঈদগাহ এবং খোলা মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত প্রধান ঈদ জামাতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলমানদের ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানান। তারা বলেন, ঈদুল আযহার মূল বার্তা হলো আত্মত্যাগ ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য, যা আমাদের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা নিজ নিজ বাসস্থানে ফিরে গিয়ে কোরবানির প্রস্তুতি নেন। ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, মুসলমানগণ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গরু, ছাগল, ভেড়া বা উট কোরবানি করে থাকেন এবং কোরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও দরিদ্রদের মাঝে বণ্টন করা হয়।
রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল জোরদার। পুলিশ, র্যাব ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে অনেক মানুষ গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে এই ভ্রমণের কষ্টকেও ত্যাগের অংশ হিসেবে মেনে নেন অনেকেই।
এদিকে, বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোরবানির মাংস বিতরণ করেছে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মধ্যে, যাতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।
পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপনের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায় নতুন করে ত্যাগ, সহমর্মিতা ও মানবতার শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হোক – এই কামনা দেশবাসীর।