শুভ জন্মদিন ফেরদৌস আহমেদ: সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে সফলতার উজ্জ্বল প্রতীক

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
  • ৭৭ বার পঠিত হয়েছে

ফেরদৌস আহমেদ

বাংলাদেশের সিনেমা জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম ফেরদৌস আহমেদ। নব্বই দশকের শেষভাগে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর থেকে তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, পাশের দেশ ভারতের চলচ্চিত্রেও নিজের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। দুই বাংলায়ই তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা আজও অটুট।

১৯৭২ সালের ৭ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়াশোনা শেষ করেন। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ থাকলেও মূলধারার চলচ্চিত্রে তিনি পা রাখেন প্রয়াত নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জীর হাত ধরে, ভারতের ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।

এরপর একে একে ‘চুপি চুপি’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘নিয়তি’, ‘এক কাপ চা’, ‘মাধবীলতা গ্রহে ঢুকেছে’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার অভিনীত অনেক চলচ্চিত্রই ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে এবং সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।

চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, একজন প্রযোজক ও সমাজসেবী হিসেবেও সক্রিয়। বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি, বিশেষ করে যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার প্রচারণায় তিনি ছিলেন বেশ সক্রিয়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফেরদৌস বলেন, “সিনেমা আমার প্রথম প্রেম। আমি চেষ্টা করি প্রতিটি চরিত্রকে নিজের ভেতর থেকে অনুভব করে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে। এখনকার তরুণদের মাঝে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ দেখে ভালো লাগে। আমি চাই তারা ভালো কাজ করুক এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করুক।”

বর্তমানে তিনি নতুন কিছু সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেও নতুন প্রজেক্টের পরিকল্পনা করছেন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ফেরদৌস আহমেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে থাকবে – অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা সিনেমাপ্রেমীদের কাছে তাকে আজীবন স্মরণীয় করে রাখবে।

জনপ্রিয় টার্গেট

একদিনে রেকর্ড ২৪৯ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছে

শুভ জন্মদিন ফেরদৌস আহমেদ: সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে সফলতার উজ্জ্বল প্রতীক

প্রকাশ: ০২:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের সিনেমা জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম ফেরদৌস আহমেদ। নব্বই দশকের শেষভাগে চলচ্চিত্রে অভিষেকের পর থেকে তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, পাশের দেশ ভারতের চলচ্চিত্রেও নিজের দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। দুই বাংলায়ই তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা আজও অটুট।

১৯৭২ সালের ৭ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন ফেরদৌস আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়াশোনা শেষ করেন। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহ থাকলেও মূলধারার চলচ্চিত্রে তিনি পা রাখেন প্রয়াত নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জীর হাত ধরে, ভারতের ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।

এরপর একে একে ‘চুপি চুপি’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘নিয়তি’, ‘এক কাপ চা’, ‘মাধবীলতা গ্রহে ঢুকেছে’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার অভিনীত অনেক চলচ্চিত্রই ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে এবং সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।

চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, একজন প্রযোজক ও সমাজসেবী হিসেবেও সক্রিয়। বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা মূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি, বিশেষ করে যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার প্রচারণায় তিনি ছিলেন বেশ সক্রিয়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফেরদৌস বলেন, “সিনেমা আমার প্রথম প্রেম। আমি চেষ্টা করি প্রতিটি চরিত্রকে নিজের ভেতর থেকে অনুভব করে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে। এখনকার তরুণদের মাঝে অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ দেখে ভালো লাগে। আমি চাই তারা ভালো কাজ করুক এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করুক।”

বর্তমানে তিনি নতুন কিছু সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেও নতুন প্রজেক্টের পরিকল্পনা করছেন।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ফেরদৌস আহমেদ একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে থাকবে – অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা সিনেমাপ্রেমীদের কাছে তাকে আজীবন স্মরণীয় করে রাখবে।