আসল বাড়ি না দেখিয়ে অন্য একটি উন্নত বাড়ি দেখিয়ে তাদের বোকা বানায়

এনএসআই পরিচয় দিয়ে বিয়ে: গণপিটুনির শিকার প্রতারক বর

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৯:১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • ১৭৫ বার পঠিত হয়েছে

বরিশালের বাবুগঞ্জে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) এর ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতে এসে মোনায়েব আহম্মেদ (হৃদয়) নামে এক যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের পশ্চিম রাকুদিয়া গ্রামে কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোনায়েব ময়মনসিংহের কুল্লাপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোনায়েব আহম্মেদ নিজেকে এনএসআই-এর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পশ্চিম রাকুদিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পেশায় একজন প্রাইভেট কোম্পানির কর্মচারী হলেও সে এই মিথ্যা পরিচয়ের মাধ্যমে মেয়ে ও তার পরিবারকে প্রতারিত করেন।

কনের বাবা জাহিদুল ইসলাম জানান, মেয়ের কথা বিশ্বাস করে গত সপ্তাহে তিনি স্বজনদের নিয়ে ময়মনসিংহের কুল্লাপাড়া গ্রামে ছেলের বাড়ি দেখতে যান। সেখানেও প্রতারক মোনায়েব নিজেদের আসল বাড়ি না দেখিয়ে অন্য একটি উন্নত বাড়ি দেখিয়ে তাদের বোকা বানায়। সরল বিশ্বাসে জাহিদুল ইসলাম বিয়ের দিন ধার্য করেন এবং সে অনুযায়ী বুধবার নিজ বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করেন।

ঘটনার দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বরের গতিবিধি ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তিনি মোনায়েবের কাছে তার এনএসআই-এর প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে এবং তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়লে উপস্থিত সকলের সামনে তার প্রতারণা ফাঁস হয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। পরবর্তীতে বরের সাথে আসা লোকজনও স্বীকার করে যে, পূর্বে দেখানো বাড়িটি তাদের নিজেদের ছিল না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোঃ শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ছেলেটি এনএসআই-এর ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছে। তবে মেয়ের ভবিষ্যৎ ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে ভুক্তভোগী পরিবার আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে উভয় পক্ষকে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদ থেকে সতর্ক রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আসল বাড়ি না দেখিয়ে অন্য একটি উন্নত বাড়ি দেখিয়ে তাদের বোকা বানায়

এনএসআই পরিচয় দিয়ে বিয়ে: গণপিটুনির শিকার প্রতারক বর

প্রকাশ: ০৯:১১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

বরিশালের বাবুগঞ্জে ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) এর ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিয়ে করতে এসে মোনায়েব আহম্মেদ (হৃদয়) নামে এক যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের পশ্চিম রাকুদিয়া গ্রামে কনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোনায়েব ময়মনসিংহের কুল্লাপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোনায়েব আহম্মেদ নিজেকে এনএসআই-এর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পশ্চিম রাকুদিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পেশায় একজন প্রাইভেট কোম্পানির কর্মচারী হলেও সে এই মিথ্যা পরিচয়ের মাধ্যমে মেয়ে ও তার পরিবারকে প্রতারিত করেন।

কনের বাবা জাহিদুল ইসলাম জানান, মেয়ের কথা বিশ্বাস করে গত সপ্তাহে তিনি স্বজনদের নিয়ে ময়মনসিংহের কুল্লাপাড়া গ্রামে ছেলের বাড়ি দেখতে যান। সেখানেও প্রতারক মোনায়েব নিজেদের আসল বাড়ি না দেখিয়ে অন্য একটি উন্নত বাড়ি দেখিয়ে তাদের বোকা বানায়। সরল বিশ্বাসে জাহিদুল ইসলাম বিয়ের দিন ধার্য করেন এবং সে অনুযায়ী বুধবার নিজ বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করেন।

ঘটনার দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বরের গতিবিধি ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তিনি মোনায়েবের কাছে তার এনএসআই-এর প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে এবং তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়লে উপস্থিত সকলের সামনে তার প্রতারণা ফাঁস হয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে গণপিটুনি দেয়। পরবর্তীতে বরের সাথে আসা লোকজনও স্বীকার করে যে, পূর্বে দেখানো বাড়িটি তাদের নিজেদের ছিল না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোঃ শাহ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ছেলেটি এনএসআই-এর ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছে। তবে মেয়ের ভবিষ্যৎ ও সামাজিক মর্যাদার কথা বিবেচনা করে ভুক্তভোগী পরিবার আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পরে উভয় পক্ষকে মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।”

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদ থেকে সতর্ক রাখার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।