যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ছয় বছর ধরে পেশাগত জীবন কাটিয়ে, এবার পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নতুনভাবে জীবন শুরু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রতীক জোশী। পেশায় একজন সফল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার প্রতীক দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য্য আর পরিকল্পনার মাধ্যমে সেই স্বপ্নের ভিত্তি গড়ে তুলেছিলেন।
১০ জুন মঙ্গলবার প্রতীক জোশীর স্ত্রী, ডাক্তার কোমি ব্যাস, ভারতে তার চিকিৎসা পেশা থেকে ইস্তফা দেন, শুধু পরিবারকে একত্রিত করে লন্ডনে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য। তাদের তিন শিশু সন্তানকেও নিয়ে সবকিছু গোছানো হয়েছিল ব্যাগপত্র গুছানো, আত্মীয়স্বজনদের কাছে বিদায় জানানো, আনন্দে পরিপূর্ণ একটি নতুন জীবনের প্রতীক্ষা।
সবশেষ প্রস্তুতি ছিল বৃহস্পতিবার ১২ জুন সকালে। প্রতীক, কোমি এবং তাদের তিন সন্তান আরোহণ করা করেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ১৭১-এ। বিমানে উঠেই প্রতীক একটি সেলফি তুলে পাঠান পরিবারের সদস্যদের হোয়াটসঅ্যাপে। ক্যাপশন ছিল “নতুন জীবনের শুরু”।
কিন্তু সেই শুরু আর শেষ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। উড্ডয়নের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয় ফ্লাইটটি। আগুনের লেলিহান শিখা আর ধ্বংসস্তূপে বিলীন হয়ে যায় প্রতীকের পরিবারসহ বিমানটির সব যাত্রী।
প্রতীক, ডা. কোমি ও তাদের তিন শিশুর কারোরই আর ফেরার সুযোগ হয়নি। ছয় বছরের সংগ্রাম, ভালোবাসা, স্বপ্ন এবং নতুন জীবনের সব পরিকল্পনা এক মর্মান্তিক মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যায়।
ঘটনাটি শুধু একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি পরিবারের হৃদয়বিদারক স্বপ্নভঙ্গের গল্প। যেটি কাঁদিয়েছে শুধু আত্মীয়দের নয়, কাঁদিয়েছে বহু মানুষকে যারা প্রতীকদের এই স্বপ্নের যাত্রার খবর শুনেছিলেন।