আজ বিশ্ব বাবা দিবস। প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয় পিতৃত্বকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে।
২০২৫ সালে এই দিনটি পড়েছে ১৫ জুন। এদিন পৃথিবীর নানা প্রান্তে সন্তানেরা বিভিন্নভাবে তাদের বাবাকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বিশ্ব বাবা দিবস মূলত যুক্তরাষ্ট্র থেকে উদ্ভব হলেও এখন এটি একটি আন্তর্জাতিক দিবসে রূপ নিয়েছে। ১৯০৯ সালে ওয়াশিংটনের সোনোরা স্মার্ট ডড নামের এক তরুণী তার বাবা উইলিয়াম স্মার্টের প্রতি সম্মান জানাতে প্রথম এই দিবস পালনের প্রস্তাব করেন। উইলিয়াম ছিলেন একজন একক পিতা যিনি মায়ের অনুপস্থিতিতে ছয় সন্তানকে মানুষ করেছিলেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই জন্ম নেয় এই বিশেষ দিবসটির।
এই দিনটিতে অনেক সন্তানই তাদের বাবার জন্য উপহার, শুভেচ্ছা কার্ড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা বা সরাসরি সময় কাটিয়ে ভালবাসা প্রকাশ করেন। অনেক প্রতিষ্ঠান ও স্কুলে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে পিতৃত্বের অবদানকে তুলে ধরা হয়। বাবাদের জন্য বিশেষ কবিতা, গান, নাটক ও আলোচনার মাধ্যমে দিনটি হয়ে ওঠে অর্থবহ।
পিতৃত্ব একটি নিঃস্বার্থ, নিরব অথচ অসীম শক্তির উৎস। একজন বাবা সন্তানের জীবনে হয়ে ওঠেন সাহস, নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। যদিও অনেক সময় এই ভূমিকা থেকে বাবা নিজেই সরে যান, তবুও পরিবার গঠনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশেও বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, পারিবারিক ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন বাবারা। সন্তানদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা নিজের স্বপ্ন বিসর্জন দেন, তাদের প্রতি সম্মান জানানোর এ এক অনন্য সুযোগ।
বিশ্ব বাবা দিবসে আমরা প্রত্যেকেই আমাদের বাবাদের জন্য জানাই অকৃত্রিম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
একটি দিন হয়তো পিতৃত্বের মর্যাদা প্রকাশের জন্য যথেষ্ট নয়, তবে এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় সেই মানুষটির কথা, যিনি নীরবে আমাদের জীবনের ভিত গড়ে তোলেন আমাদের বাবা।