সমাবেশ শেষে ব্যাংকের প্রধান শাখার সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান অব্যাহত রাখার ঘোষণা

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে অবস্থান কর্মসূচি

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • ৬৬ বার পঠিত হয়েছে

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিএলসি) পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ৩,৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী “মেইন স্ট্রিমে অন্তর্ভুক্তি ও অফিসার মর্যাদা” এর দাবিতে আজ সকাল ৯:৩০টা থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জমায়েত হয়ে সমাবেশ শুরু করেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০:৩০টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

দাবির প্রেক্ষাপট

কর্মচারীরা ইসলামী ব্যাংকের সার্কুলার নং ১০৮৮/২০০৯, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার ২০২২ এবং হাইকোর্টের রায় (রিট নং ৭৩১৭/২০২২) অনুসারে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মীদের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। হাইকোর্টের রায়ে **”লেন্থ অব সার্ভিসের ভিত্তিতে”** (সেবার মেয়াদ অনুযায়ী) তাদের মেইন স্ট্রিমে পদায়ন ও অফিসার মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

 ৫ দফা দাবিসমূহ

১. মেইন স্ট্রিমে অন্তর্ভুক্তি

পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তাদেরকে ব্যাংকের সার্কুলার, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি ও হাইকোর্টের রায় মোতাবেক মূল ধারায় পদায়ন এবং অফিসার মর্যাদা প্রদান।

২. পদমর্যাদা ও নামকরণ

বেসিক বেতন ১৯,৫০০ টাকার ঊর্ধ্বে থাকা কর্মকর্তাদের “অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার” হিসাবে মূল ধারার পদবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তি এবং পরবর্তী পদোন্নতি ক্রমধারা অনুসরণ।

৩. অবৈধ শাস্তি প্রত্যাহার

সামান্য কারণে দেওয়া শাস্তি, সাসপেনশন ও চার্জশিট অবিলম্বে প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্টদের স্বাভাবিক দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা।

৪. অযৌক্তিক ট্রান্সফার বাতিল

ঠুনকো অজুহাতে” দূরবর্তী স্থানে বদলি করা কর্মকর্তাদের নিকটবর্তী শাখায় ফিরিয়ে আনা।

৫. হয়রানি বন্ধ

ভবিষ্যতে যেকোনো প্রকার “হিংসাত্মক শাস্তি, হয়রানি, জুলুম ও নির্যাতন” বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশনা।

অন্যান্য তথ্য

উপস্থিতি: প্রায় ৪৫০–৪৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

নেতৃবৃন্দ: শাহিন পারভেজ (সিনিয়র ফিল্ড অফিসার)

কামাল হোসেন চৌধুরী (ইউনিট অফিসার)

নুর ইলাহী (কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয়ক)।

চাপের কৌশল: সমাবেশ শেষে ব্যাংকের প্রধান শাখার সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান অব্যাহত রাখার ঘোষণা।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

কর্মচারীরা দাবি করেন, হাইকোর্টের রায় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংক প্রশাসন তাদের দাবি পূরণে গড়িমসি করছে। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে উত্তপ্ত কর্ম-বিরোধ চলছিল, যা আজ অবস্থান কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে।

ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, “দাবি মানা না পর্যন্ত এই প্রতিবাদ জারি থাকবে”। তারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সমাবেশ শেষে ব্যাংকের প্রধান শাখার সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান অব্যাহত রাখার ঘোষণা

ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিতে বায়তুল মোকাররমে অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশ: ০২:১০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিএলসি) পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রায় ৩,৪০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী “মেইন স্ট্রিমে অন্তর্ভুক্তি ও অফিসার মর্যাদা” এর দাবিতে আজ সকাল ৯:৩০টা থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জমায়েত হয়ে সমাবেশ শুরু করেন।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০:৩০টা থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

দাবির প্রেক্ষাপট

কর্মচারীরা ইসলামী ব্যাংকের সার্কুলার নং ১০৮৮/২০০৯, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি সার্কুলার ২০২২ এবং হাইকোর্টের রায় (রিট নং ৭৩১৭/২০২২) অনুসারে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মীদের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। হাইকোর্টের রায়ে **”লেন্থ অব সার্ভিসের ভিত্তিতে”** (সেবার মেয়াদ অনুযায়ী) তাদের মেইন স্ট্রিমে পদায়ন ও অফিসার মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।

 ৫ দফা দাবিসমূহ

১. মেইন স্ট্রিমে অন্তর্ভুক্তি

পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তাদেরকে ব্যাংকের সার্কুলার, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি ও হাইকোর্টের রায় মোতাবেক মূল ধারায় পদায়ন এবং অফিসার মর্যাদা প্রদান।

২. পদমর্যাদা ও নামকরণ

বেসিক বেতন ১৯,৫০০ টাকার ঊর্ধ্বে থাকা কর্মকর্তাদের “অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার” হিসাবে মূল ধারার পদবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তি এবং পরবর্তী পদোন্নতি ক্রমধারা অনুসরণ।

৩. অবৈধ শাস্তি প্রত্যাহার

সামান্য কারণে দেওয়া শাস্তি, সাসপেনশন ও চার্জশিট অবিলম্বে প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্টদের স্বাভাবিক দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা।

৪. অযৌক্তিক ট্রান্সফার বাতিল

ঠুনকো অজুহাতে” দূরবর্তী স্থানে বদলি করা কর্মকর্তাদের নিকটবর্তী শাখায় ফিরিয়ে আনা।

৫. হয়রানি বন্ধ

ভবিষ্যতে যেকোনো প্রকার “হিংসাত্মক শাস্তি, হয়রানি, জুলুম ও নির্যাতন” বন্ধ করতে প্রশাসনের প্রতি কঠোর নির্দেশনা।

অন্যান্য তথ্য

উপস্থিতি: প্রায় ৪৫০–৪৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

নেতৃবৃন্দ: শাহিন পারভেজ (সিনিয়র ফিল্ড অফিসার)

কামাল হোসেন চৌধুরী (ইউনিট অফিসার)

নুর ইলাহী (কর্মকর্তা-কর্মচারী সমন্বয়ক)।

চাপের কৌশল: সমাবেশ শেষে ব্যাংকের প্রধান শাখার সামনে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান অব্যাহত রাখার ঘোষণা।

প্রাসঙ্গিক তথ্য

কর্মচারীরা দাবি করেন, হাইকোর্টের রায় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা সত্ত্বেও ইসলামী ব্যাংক প্রশাসন তাদের দাবি পূরণে গড়িমসি করছে। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে উত্তপ্ত কর্ম-বিরোধ চলছিল, যা আজ অবস্থান কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে।

ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, “দাবি মানা না পর্যন্ত এই প্রতিবাদ জারি থাকবে”। তারা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।