বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে।
এর আগে, ২০১৩ সালের ১ আগস্ট সংবিধানের সঙ্গে গঠনতন্ত্র সাংঘর্ষিক হওয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে অবৈধ ঘোষণা করে ইসির নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ‘দাঁড়িপাল্লা’ ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের মনোগ্রামে ব্যবহৃত হবে। কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে, এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা থেকে জামায়াতের বরাদ্দকৃত দাঁড়িপাল্লা প্রতীক বাতিল করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৮ মার্চ এ বিষয়ে গেজেট জারি করে ইসি।
তবে দীর্ঘ আইনি লড়াই ও আলোচনার পর জামায়াত পুনরায় তাদের নিবন্ধন পেতে সক্ষম হলো। নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে তারা আবারো নির্বাচনী রাজনীতিতে সক্রিয় হতে পারবে।
নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়া জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষত, ২০১৩ সালের পর থেকে নিষেধাজ্ঞা ও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে দলটি রাজনৈতিকভাবে এক প্রকার নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল।
নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর দলটির নেতারা আশা করছেন, তারা জনগণের আস্থা অর্জন করে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। তবে, দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ব্যবহারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কি না, তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়ে গেছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।