যুদ্ধ পরিস্থিতি যেমনই হোক, দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, দেশের জ্বালানি তেলের মজুদ যথেষ্ট ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং সরবরাহও স্থিতিশীল।
মঙ্গলবার ২৪ জুন বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি আরও জানান, জ্বালানি খাতে অপচয় এবং দুর্নীতি কমানোর মাধ্যমে খরচের ভার অনেকটাই সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের সঙ্গে লাফার্জহোলসিম সিমেন্টের ১০ বছরের মেয়াদী গ্যাস সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রেজানুর রহমান, সুইজারল্যান্ড, ইইউ এবং স্পেনের রাষ্ট্রদূতগণ এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির সিইও ইকবাল চৌধুরী।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও সরবরাহকারিরা বিভিন্ন উৎস থেকে আমাদের জ্বালানি তেল পৌঁছে দিচ্ছেন। সরবরাহ নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আমাদের মূল উৎস মধ্যপ্রাচ্য হলেও সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বাজার থেকেও তেল সংগ্রহ করা হচ্ছে।”
সরকারের জ্বালানি খাতে ভর্তুকি বাড়ানোর প্রশ্নে তিনি জানান, “গ্যাস খাতে অনেক ভর্তুকি রয়েছে। তবে নতুন করে ভর্তুকি বাড়ানোর সুযোগ নেই। বিপিসির কাছে পর্যাপ্ত অর্থ মজুদ রয়েছে। প্রয়োজন হলে, সেই অর্থ থেকে ঘাটতি সমন্বয় করা হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “কাফকোর সঙ্গে চুক্তি পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। তাদেরকে আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে গ্যাসের দাম দিতে হবে।”
সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়াবে না এমন আশ্বাসে জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে জ্বালানি খাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও অপচয় কমানোর গুরুত্বও পুনর্ব্যক্ত করেছেন উপদেষ্টা।