জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোঃ আবদুর রহমান খানের অপসারণ এবং প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা কলম বিরতির দ্বিতীয় দফার চতুর্থ দিন বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এনবিআরের আওতাধীন দপ্তরগুলোতে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালিত হয়। এর ফলে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দেয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিল অব এন্ট্রি দাখিলসহ শুল্কায়ন সংক্রান্ত কোনও কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। কাস্টমস কর্মকর্তারা দুপুর ১২টা থেকে টেবিল ছেড়ে কলম বিরতিতে যোগ দেন। তবে বন্দর এলাকায় পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম এবং যাত্রী পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন।
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, কলম বিরতির কারণে পণ্য খালাসে জট তৈরি হচ্ছে। কর্মকর্তারা সই করলেও ব্যাংক শুল্ক জমা নিতে বিকেল ৪টার পর বন্ধ থাকায় পুরো প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মহাসচিব অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা এক প্রেসনোটে জানিয়েছেন, আগামী ২৭ জুনের মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং প্রতিহিংসামূলক বদলির আদেশ বাতিল না হলে ২৮ জুন থেকে ট্যাক্স, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে লাগাতার শাটডাউন চলবে। পাশাপাশি ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এই পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়ীরা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়ে বলেছেন, স্থবিরতা দীর্ঘায়িত হলে দেশের বাণিজ্য ও রাজস্ব আয়ে বড় প্রভাব পড়বে।