প্রবাসী আয় ও বহুমুখী ঋণের সমন্বয়ে রিজার্ভে নতুন উচ্চতা

রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ালো

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১১:৫০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • ৬১ বার পঠিত হয়েছে

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি গত কয়েক মাসের রিজার্ভ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতার একটি নতুন মাইলফলক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুসারে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার এবং ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, প্রবাসী আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি রিজার্ভ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি।

গত ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি ছাড়াই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।

রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বহুপাক্ষিক উৎস থেকে প্রাপ্ত ঋণ এবং বাজেট সহায়তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি ডলার (৫ বিলিয়ন) ঋণ বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে এসেছে। জুন মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান এবং ওপেক ফান্ড থেকে আরও ১৫০ কোটি ডলার যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমএফও শিগগিরই ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করবে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘রিজার্ভের এই বৃদ্ধির পেছনে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে প্রাপ্ত ঋণ বড় ভূমিকা রেখেছে। এই অর্থ বাজেট বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাত সংস্কার এবং রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। ফলে অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’’

রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয় অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা আশাবাদী, মাস শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রিজার্ভের এই উন্নয়ন সাময়িক চাপ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াবে এবং অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করবে।

প্রবাসী আয় ও বহুমুখী ঋণের সমন্বয়ে রিজার্ভে নতুন উচ্চতা

রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়ালো

প্রকাশ: ১১:৫০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি গত কয়েক মাসের রিজার্ভ বৃদ্ধির ধারাবাহিকতার একটি নতুন মাইলফলক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুসারে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ ২৫ বিলিয়ন ডলার এবং ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, প্রবাসী আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি রিজার্ভ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়ে যাওয়ায় বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি।

গত ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি ছাড়াই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।

রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বহুপাক্ষিক উৎস থেকে প্রাপ্ত ঋণ এবং বাজেট সহায়তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। চলতি বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি ডলার (৫ বিলিয়ন) ঋণ বিভিন্ন উৎস থেকে দেশে এসেছে। জুন মাসের মধ্যে বিশ্বব্যাংক, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি), জাপান এবং ওপেক ফান্ড থেকে আরও ১৫০ কোটি ডলার যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইএমএফও শিগগিরই ৯০ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করবে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘রিজার্ভের এই বৃদ্ধির পেছনে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্প সুদে প্রাপ্ত ঋণ বড় ভূমিকা রেখেছে। এই অর্থ বাজেট বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাত সংস্কার এবং রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। ফলে অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’’

রিজার্ভ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং সরকারের মধ্যে সমন্বয় অব্যাহত রয়েছে। কর্মকর্তারা আশাবাদী, মাস শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রিজার্ভের এই উন্নয়ন সাময়িক চাপ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াবে এবং অর্থনীতিকে দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করবে।