যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, “চীনের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা চীনের বাজার ধীরে ধীরে উন্মুক্ত করতে সহায়তা করবে।” তবে তিনি চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেননি।
অন্যদিকে, চীনও শুক্রবার বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং চীনের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের অনুমোদনের বিষয়টি পর্যালোচনা করবে।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানিয়েছেন, এই চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য গত মে মাসে জেনেভায় দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। চুক্তির আওতায় চীন যুক্তরাষ্ট্রে বিরল খনিজ সরবরাহ করবে, যা বায়ু টারবাইন এবং যুদ্ধবিমান তৈরিতে ব্যবহৃত হবে। এর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র চীনের উপর আরোপিত প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা প্রত্যাহার করবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদ থেকেই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে নানা উত্তেজনা দেখা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া চীনা পণ্যের উপর উচ্চ শুল্ক আরোপের মাধ্যমে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে চীনও নানা পদক্ষেপ নেয়। তবে এই চুক্তি দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীল সম্পর্ক গড়ে তুলতে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে।