স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক, বন বিভাগে জনবল সংকট

হাজীগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে ৯ জন আহত

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৩:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
  • ৪৭ বার পঠিত হয়েছে

শিয়াল

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিয়ালের হঠাৎ আক্রমণে অন্তত ৯ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

শনিবার ২৮ জুন সকালে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের ব্যাপারী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বারেক ব্যাপারী (৬০), রনি (২০), জসিম ব্যাপারী (৩০), রেহান উদ্দিন (২০), হাছান ব্যাপারী (১৫), রুবেল হোসেন (৪০), আবু তাহের (৪০), আব্দুল লতিফ (৪০) ও রুবেল হোসেন (২৮)। আহতদের মধ্যে বারেক ব্যাপারীর অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ভোরের আলো ফোটার আগেই দুটি শিয়াল আচমকা গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং যার সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়ে দেয়। গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ততক্ষণে ৯ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক ইউপি সদস্য কালাম ব্যাপারী ও কবির হোসেন মোল্লা বলেন, “লোকজন যখন নামাজ পড়ে বা দৈনন্দিন কাজের জন্য বাইরে বের হচ্ছিল, তখনই শিয়াল দুটি যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়েছে। যারা হাতে লাঠি ছিল তারা আত্মরক্ষা করতে পেরেছে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, “বারেক ব্যাপারীর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। আমরা গ্রামবাসী মিলে বন্যপ্রাণী আইন মেনে কীভাবে শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।”

উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, “শিয়াল ধরে বনে ছেড়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা শিয়াল ধরলে আমরা তা গ্রহণ করে বনে অবমুক্ত করবো।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি।”

এ ঘটনার পর ফুলছোঁয়া গ্রামে শিয়ালের ভয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক, বন বিভাগে জনবল সংকট

হাজীগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে ৯ জন আহত

প্রকাশ: ০৩:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিয়ালের হঠাৎ আক্রমণে অন্তত ৯ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।

শনিবার ২৮ জুন সকালে উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের ব্যাপারী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বারেক ব্যাপারী (৬০), রনি (২০), জসিম ব্যাপারী (৩০), রেহান উদ্দিন (২০), হাছান ব্যাপারী (১৫), রুবেল হোসেন (৪০), আবু তাহের (৪০), আব্দুল লতিফ (৪০) ও রুবেল হোসেন (২৮)। আহতদের মধ্যে বারেক ব্যাপারীর অবস্থাকে আশঙ্কাজনক বলে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।

স্থানীয়দের ভাষ্য, ভোরের আলো ফোটার আগেই দুটি শিয়াল আচমকা গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং যার সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়ে দেয়। গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুললেও ততক্ষণে ৯ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক ইউপি সদস্য কালাম ব্যাপারী ও কবির হোসেন মোল্লা বলেন, “লোকজন যখন নামাজ পড়ে বা দৈনন্দিন কাজের জন্য বাইরে বের হচ্ছিল, তখনই শিয়াল দুটি যাকে পেয়েছে তাকেই কামড়েছে। যারা হাতে লাঠি ছিল তারা আত্মরক্ষা করতে পেরেছে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, “বারেক ব্যাপারীর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। আমরা গ্রামবাসী মিলে বন্যপ্রাণী আইন মেনে কীভাবে শিয়ালের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।”

উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, “শিয়াল ধরে বনে ছেড়ে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা শিয়াল ধরলে আমরা তা গ্রহণ করে বনে অবমুক্ত করবো।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, “আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করছি।”

এ ঘটনার পর ফুলছোঁয়া গ্রামে শিয়ালের ভয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।