জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাপ সংরক্ষণের গুরুত্বের উপর বিশেষজ্ঞদের জোর

দোহারে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০১:৪১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ৪৮ বার পঠিত হয়েছে

রাসেলস ভাইপার

ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা এলাকা থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করেছে ‘সেভ ওয়ার্ল্ড লাইফ অ্যান্ড ন্যাচার’ (এসডব্লিউএএন) নামের একটি সংগঠন।

রবিবার ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ সাপটি উদ্ধার করা হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আদনান আজাদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং সতর্কতার সঙ্গে সাপটি উদ্ধার করেন। তিনি জানান, বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সাপটি নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হবে।

রাসেলস ভাইপার, যা চন্দ্রবোড়া নামেও পরিচিত, একটি বিষধর সাপ। তবে এ সাপটি বাংলাদেশে খুব বিরল। গত বছর এই সাপ নিয়ে ছড়ানো আতঙ্কের ফলে সাধারণ মানুষ নির্বিচারে সাপ হত্যা শুরু করেছিল। বন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশের বেশি সাপই নির্বিষ। রাসেলস ভাইপার বিষধর হলেও এটি বিষধর সাপের তালিকায় নবম স্থানে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাপের উপস্থিতি বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এ প্রাণীগুলি ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফসলি জমিতে ইঁদুরের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে বছরে ১০ থেকে ২০ শতাংশ ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপ প্রকৃতির বন্ধু এবং জীববৈচিত্র্যের অংশ। নির্বিচারে সাপ হত্যা পুরো বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সাপ দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানান তারা।

এসডব্লিউএএন ও বন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের মাঝে সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মতে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাপ সংরক্ষণ অপরিহার্য।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সাপ সংরক্ষণের গুরুত্বের উপর বিশেষজ্ঞদের জোর

দোহারে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার

প্রকাশ: ০১:৪১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ঢাকার দোহার উপজেলার নারিশা এলাকা থেকে একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করেছে ‘সেভ ওয়ার্ল্ড লাইফ অ্যান্ড ন্যাচার’ (এসডব্লিউএএন) নামের একটি সংগঠন।

রবিবার ২৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ সাপটি উদ্ধার করা হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আদনান আজাদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান এবং সতর্কতার সঙ্গে সাপটি উদ্ধার করেন। তিনি জানান, বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী সাপটি নিরাপদ স্থানে অবমুক্ত করা হবে।

রাসেলস ভাইপার, যা চন্দ্রবোড়া নামেও পরিচিত, একটি বিষধর সাপ। তবে এ সাপটি বাংলাদেশে খুব বিরল। গত বছর এই সাপ নিয়ে ছড়ানো আতঙ্কের ফলে সাধারণ মানুষ নির্বিচারে সাপ হত্যা শুরু করেছিল। বন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৮৫ শতাংশের বেশি সাপই নির্বিষ। রাসেলস ভাইপার বিষধর হলেও এটি বিষধর সাপের তালিকায় নবম স্থানে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাপের উপস্থিতি বাস্তুতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এ প্রাণীগুলি ইঁদুরের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। ফসলি জমিতে ইঁদুরের প্রভাব বৃদ্ধি পেলে বছরে ১০ থেকে ২০ শতাংশ ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, সাপ প্রকৃতির বন্ধু এবং জীববৈচিত্র্যের অংশ। নির্বিচারে সাপ হত্যা পুরো বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই সাপ দেখলে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানান তারা।

এসডব্লিউএএন ও বন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষের মাঝে সাপ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রচারে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের মতে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাপ সংরক্ষণ অপরিহার্য।