কর্মস্থলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ১৪ জন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর আওতায় তাদের বিরুদ্ধে ‘পলায়নের অপরাধে’ এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রবিবার ২৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত ১৪টি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রতিটি প্রজ্ঞাপনে ২৬ জুন তারিখে উপসচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষর করেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(গ) বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১২(১) বিধির আওতায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন পুলিশ সুপার, ৮ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ২ জন সহকারী পুলিশ সুপার এবং ১ জন সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা
১. অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির – ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার, র্যাব-৮, বরিশাল
২. এস. এম. শামীম – সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি
৩. রুবাইয়াত জামান – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, সুনামগঞ্জ
৪. মোহাম্মদ ইমরুল – সহকারী পুলিশ সুপার, ৮ এপিবিএন, উখিয়া
৫. হাসানুজ্জামান মোল্ল্যা – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিআইজি অফিস (পার্বত্য এলাকা), রাঙামাটি
৬. গোলাম মোস্তফা রাসেল – সাবেক পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ
৭. মো. শাহজাহান – সাবেক পুলিশ সুপার, রংপুর
৮. মাহমুদুল হাসান – টেলিকম অফিসার (এএসপি), পুলিশ টেলিকম সংস্থা, রাজারবাগ
৯. ইফতেখারুল ইসলাম – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১৬ এপিবিএন, কক্সবাজার
১০. মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন – সাবেক পুলিশ সুপার, এটিইউ, ঢাকা
১১. আখতারুল ইসলাম – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, সিলেট
১২. এস. এম. জাহাঙ্গীর হাছান – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নৌপুলিশ, টাঙ্গাইল
১৩. মিশু বিশ্বাস – অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, জামালপুর
১৪. আল ইমরান হোসেন – সহকারী পুলিশ কমিশনার, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও এই কর্মকর্তারা যথাযথ অনুমতি কিংবা ছুটির আবেদন করেননি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।