মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে নির্বাচন, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা

আগামী বছরের শুরুতে ভোটের আশ্বাস ইউনূসের

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ৫৬ বার পঠিত হয়েছে

মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আগামী বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার ৩০ জুন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, নতুন নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী কাঠামো পুনর্গঠনে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আগের সরকার এই কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। তবে এবার আমাদের তরুণরা জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে।”

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনা প্রয়োজনীয় সংস্কারকে ত্বরান্বিত করবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে।”

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, প্রায় ১৫ মিনিটব্যাপী এ ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণতা ও পারস্পরিক আস্থা প্রতিফলিত হয়।

আলোচনায় উঠে আসে চলমান বাণিজ্য আলোচনা, পারস্পরিক শুল্ক, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং রেমিট্যান্সের অন্যতম প্রধান উৎস। আমরা পারস্পরিক শুল্ক আলোচনা দ্রুত শেষ করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আশাবাদী।”

অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “আমরা এমন একটি বাণিজ্যিক পদক্ষেপের প্যাকেজ চূড়ান্ত করতে কাজ করছি, যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য এজেন্ডার যথাযথ প্রতিফলন ঘটে।”

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রকে ২০১৭ সাল থেকে অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন বাস্তবসম্মত সমাধানের সম্ভাবনা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।”

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে উভয় নেতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মতবিনিময় করেন।

আলোচনার শেষ পর্যায়ে অধ্যাপক ইউনূস মার্কো রুবিওকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং বলেন, “আপনার উপস্থিতি আমাদের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে আরও মজবুত করবে।”

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপে নির্বাচন, বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা

আগামী বছরের শুরুতে ভোটের আশ্বাস ইউনূসের

প্রকাশ: ০২:৪৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আগামী বছরের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার ৩০ জুন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপে তিনি এ ঘোষণা দেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, নতুন নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী কাঠামো পুনর্গঠনে কাজ করছে। তিনি বলেন, “আগের সরকার এই কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল। তবে এবার আমাদের তরুণরা জীবনে প্রথমবারের মতো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে।”

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান আলোচনা প্রয়োজনীয় সংস্কারকে ত্বরান্বিত করবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবে।”

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, প্রায় ১৫ মিনিটব্যাপী এ ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উষ্ণতা ও পারস্পরিক আস্থা প্রতিফলিত হয়।

আলোচনায় উঠে আসে চলমান বাণিজ্য আলোচনা, পারস্পরিক শুল্ক, গণতান্ত্রিক উত্তরণ, জাতীয় নির্বাচন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট এবং আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ফোনালাপে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান।

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য এবং রেমিট্যান্সের অন্যতম প্রধান উৎস। আমরা পারস্পরিক শুল্ক আলোচনা দ্রুত শেষ করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে আশাবাদী।”

অধ্যাপক ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, “আমরা এমন একটি বাণিজ্যিক পদক্ষেপের প্যাকেজ চূড়ান্ত করতে কাজ করছি, যাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য এজেন্ডার যথাযথ প্রতিফলন ঘটে।”

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রকে ২০১৭ সাল থেকে অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এখন বাস্তবসম্মত সমাধানের সম্ভাবনা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।”

আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে উভয় নেতা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মতবিনিময় করেন।

আলোচনার শেষ পর্যায়ে অধ্যাপক ইউনূস মার্কো রুবিওকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং বলেন, “আপনার উপস্থিতি আমাদের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক হবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে আরও মজবুত করবে।”