অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বন্ধ: অনিশ্চয়তায় এজেন্ট ও গ্রাহক

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:৩৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ৭৯ বার পঠিত হয়েছে

অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারা দেশের প্রায় ৫৬৭টি এজেন্ট শাখার কর্মীরা আজ দুপুর ১২টা থেকে ঢাকার ২৮ দিলকুশার দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড (Door Services Limited)-এর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।

দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড অগ্রণী ব্যাংকের এই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

ধর্মঘটে অংশ নেওয়া প্রায় ১২০/১৩০ জন এজেন্ট তাদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, পর্যাপ্ত আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে তারা ও তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো চরম বিপদের সম্মুখীন হবে।

এজেন্টদের অভিযোগ, গত ২৪ জুন, ২০২৫ তারিখে এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশনের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল, যার মধ্যে ছিলেন মোঃ শাহাবুদ্দিন (কুমিল্লা), মোঃ সাত্তার (ঢাকা), এবং মেজবাউদ্দিন (পাবনা), অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম-এর সাথে আলোচনা করেন। তবে এই আলোচনার পর এজেন্ট প্রতিনিধিরা অন্যান্য এজেন্টদের সাথে একমত হতে পারেননি। ফলস্বরূপ, আজ তারা দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।

এজেন্টদের এই আকস্মিক ধর্মঘট অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক অচলাবস্থা তৈরি করেছে। এর ফলে সারা দেশের গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলের যেসব গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করে আসছিলেন, তারা প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সাধারণ গ্রাহকদের টাকা তোলা, জমা দেওয়া, বিল পরিশোধসহ অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যাংকিং সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক বা দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এজেন্টরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই অচলাবস্থা কতদিন চলবে এবং গ্রাহকদের ভোগান্তি কখন শেষ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বন্ধ: অনিশ্চয়তায় এজেন্ট ও গ্রাহক

প্রকাশ: ০২:৩৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সারা দেশের প্রায় ৫৬৭টি এজেন্ট শাখার কর্মীরা আজ দুপুর ১২টা থেকে ঢাকার ২৮ দিলকুশার দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড (Door Services Limited)-এর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন।

দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড অগ্রণী ব্যাংকের এই এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।

ধর্মঘটে অংশ নেওয়া প্রায় ১২০/১৩০ জন এজেন্ট তাদের চাকরি হারানোর আশঙ্কা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, পর্যাপ্ত আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এর ফলে তারা ও তাদের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো চরম বিপদের সম্মুখীন হবে।

এজেন্টদের অভিযোগ, গত ২৪ জুন, ২০২৫ তারিখে এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাসোসিয়েশনের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল, যার মধ্যে ছিলেন মোঃ শাহাবুদ্দিন (কুমিল্লা), মোঃ সাত্তার (ঢাকা), এবং মেজবাউদ্দিন (পাবনা), অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম-এর সাথে আলোচনা করেন। তবে এই আলোচনার পর এজেন্ট প্রতিনিধিরা অন্যান্য এজেন্টদের সাথে একমত হতে পারেননি। ফলস্বরূপ, আজ তারা দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।

এজেন্টদের এই আকস্মিক ধর্মঘট অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক অচলাবস্থা তৈরি করেছে। এর ফলে সারা দেশের গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলের যেসব গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করে আসছিলেন, তারা প্রচণ্ড ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সাধারণ গ্রাহকদের টাকা তোলা, জমা দেওয়া, বিল পরিশোধসহ অন্যান্য দৈনন্দিন ব্যাংকিং সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক বা দোয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এজেন্টরা দ্রুত এই সমস্যার সমাধান এবং তাদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এই অচলাবস্থা কতদিন চলবে এবং গ্রাহকদের ভোগান্তি কখন শেষ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।