আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার ও কৌশলগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রিয়াদ

সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৩:৪০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • ৫৭ বার পঠিত হয়েছে

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথমধাপ চালু করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে ও কৌশলগত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আশারক আল-আওসাত পত্রিকার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মেহের জানায়, মার্কিন নির্মিত ‘থাড’ সিস্টেম ইতোমধ্যে সৌদি মাটিতে মোতায়েন শুরু হয়েছে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় জেদ্দা প্রদেশে অবস্থিত বিমান প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্রে। মোতায়েনের আগে সৌদি সেনাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়, যাতে সিস্টেমটি পরিচালনায় দক্ষতা অর্জন করা যায়।

থাড মূলত স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে কার্যকর। এতে রয়েছে হাই অল্টিটিউড টার্মিনাল ইন্টারসেপ্ট ক্ষমতা, যা শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম।

তবে এই উন্নত প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক। এক প্রতিবেদনে তারা দাবি করে, ইরান ও ইয়েমেনের পাল্টা হামলার সময় ইসরাইলের ওপর ‘থাড’ সিস্টেম কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে থাড ব্যবস্থা।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবের এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। তবে বাস্তব সংকটে থাড কতটা কার্যকর তা সময়ই বলে দেবে।

আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার ও কৌশলগত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে রিয়াদ

সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু

প্রকাশ: ০৩:৪০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথমধাপ চালু করেছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে ও কৌশলগত এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আশারক আল-আওসাত পত্রিকার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা মেহের জানায়, মার্কিন নির্মিত ‘থাড’ সিস্টেম ইতোমধ্যে সৌদি মাটিতে মোতায়েন শুরু হয়েছে। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় জেদ্দা প্রদেশে অবস্থিত বিমান প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্রে। মোতায়েনের আগে সৌদি সেনাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়, যাতে সিস্টেমটি পরিচালনায় দক্ষতা অর্জন করা যায়।

থাড মূলত স্বল্প ও মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে কার্যকর। এতে রয়েছে হাই অল্টিটিউড টার্মিনাল ইন্টারসেপ্ট ক্ষমতা, যা শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করতে সক্ষম।

তবে এই উন্নত প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক। এক প্রতিবেদনে তারা দাবি করে, ইরান ও ইয়েমেনের পাল্টা হামলার সময় ইসরাইলের ওপর ‘থাড’ সিস্টেম কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়েও সন্দেহ আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে থাড ব্যবস্থা।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদি আরবের এই উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা কৌশলে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। তবে বাস্তব সংকটে থাড কতটা কার্যকর তা সময়ই বলে দেবে।