পাইকারি বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

আকাশছোঁয়া মাছ-সবজির দাম, বিপাকে ক্রেতা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৬:০০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ৫৬ বার পঠিত হয়েছে

মাছ ও সবজির দাম ছুঁয়েছে আকাশচুম্বী উচ্চতায় পাঙ্গাস ও মুরগি ছাড়া বাকি সব খাবার নাগালের বাইরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে মাছ ও সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

পাঙ্গাস ও ট্যাপা মাছ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছের দামই এখন কেজিতে ৩০০ টাকার ওপরে। শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, মিরপুর-২, শেওড়াপাড়া, কচুক্ষেত ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

একইভাবে সবজির দামও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহের ব্যবধানে অনেক সবজির কেজিপ্রতি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ভালো, কিন্তু পরিবহন ব্যয় এবং পাইকারি বাজারের দামের কারণেই ভোক্তাপর্যায়ে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে।

মাছের বর্তমান বাজারদর

রুই মাছ (আকারভেদে): ৩৫০–৪৫০ টাকা

দেশি মাগুর: ৮০০–১,০০০ টাকা

চিংড়ি: ৮০০–১,২০০ টাকা

কাতলা: ৪০০–৫৫০ টাকা

বোয়াল: ৬০০–৮০০ টাকা

দেশি শিং: ১,০০০ টাকা

চাষের কই: ২২০–২৩০ টাকা

পাবদা: ৩৫০ টাকা

তেলাপিয়া: ২২০ টাকা

ইলিশ (১ কেজি): ২,৭০০ টাকা

বাতাসি টেংরা: ১,৩০০ টাকা

ছোট মাছ (মলা, কাঁচকি, টেংরা): ৫০০–৬০০ টাকা

সবজির বাজারদর

বেগুন: ৬০–৮০ টাকা

করলা: ৭০–৮০ টাকা

বরবটি: ৮০ টাকা

পটল: ৫০–৬০ টাকা

কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দল: ৫০–৮০ টাকা

কচুর লতি: ৭০–৮০ টাকা

কচুর মুখী: ৮০ টাকা

ঝিঙা: ৬০ টাকা

ক্যাপসিকাম: ৩৫০ টাকা

মিষ্টিকুমড়া: ৪০ টাকা

টমেটো (অফসিজন): ১০০–১২০ টাকা

মুলা: ৬০ টাকা

শসা (দেশি): ৬০ টাকা, হাইব্রিড: ৫০ টাকা

শাকপাতা ও অন্যান্য

লালশাক: ১০ টাকা আঁটি

লাউশাক: ৩০–৪০ টাকা

কলমিশাক (২ আঁটি): ২০ টাকা

পুঁইশাক: ৩০ টাকা

ডাঁটাশাক (২ আঁটি): ২০ টাকা

ধনেপাতা: ৩২০ টাকা কেজি

কাঁচামরিচ: ১৬০ টাকা কেজি

কাঁচা আম: ৫০–৭০ টাকা কেজি

লেবু (হালি): ১০–২০ টাকা

কাঁচা কলা (হালি): ২০ টাকা

মুরগি, ডিম ও মাংস

ব্রয়লার মুরগি: ১৫০ টাকা

সোনালি মুরগি: ৩০০ টাকা

লাল লেয়ার: ২৯০ টাকা

দেশি মুরগি: ৬৫০ টাকা

লাল ডিম (ডজন): ১২০ টাকা

হাঁসের ডিম (ডজন): ২২০ টাকা

দেশি ডিম (হালি): ৯০ টাকা

গরুর মাংস: ৭৮০–৮০০ টাকা

খাসির মাংস: ১,২০০ টাকা

কলিজা ও মাথার মাংস: ৪৫০–৮০০ টাকা

গরুর বট: ৩৫০–৪০০ টাকা

বাজার করতে আসা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যত টাকা নিয়েই বাজারে আসি, কিছু কেনার আগেই টাকাগুলো শেষ হয়ে যায়। মাছ-সবজি তো এখন সোনার চেয়েও দামী!” অনেকে বলছেন, “শুধু পাঙ্গাস আর মুরগি খেয়েই কোনোমতে সংসার চলছে।”

বিক্রেতারা বলছেন কী?

বিক্রেতাদের দাবি, মূল সমস্যা পাইকারি বাজারে। তাদের মতে, মাছ ও সবজির পাইকারি দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়ে তারা লাভ না করেও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক না হলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আরও চাপ পড়বে এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

পাইকারি বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

আকাশছোঁয়া মাছ-সবজির দাম, বিপাকে ক্রেতা

প্রকাশ: ০৬:০০:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

মাছ ও সবজির দাম ছুঁয়েছে আকাশচুম্বী উচ্চতায় পাঙ্গাস ও মুরগি ছাড়া বাকি সব খাবার নাগালের বাইরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে মাছ ও সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে।

পাঙ্গাস ও ট্যাপা মাছ ছাড়া প্রায় সব ধরনের মাছের দামই এখন কেজিতে ৩০০ টাকার ওপরে। শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, মিরপুর-২, শেওড়াপাড়া, কচুক্ষেত ও মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

একইভাবে সবজির দামও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সপ্তাহের ব্যবধানে অনেক সবজির কেজিপ্রতি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকার নিচে সবজি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ ভালো, কিন্তু পরিবহন ব্যয় এবং পাইকারি বাজারের দামের কারণেই ভোক্তাপর্যায়ে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে।

মাছের বর্তমান বাজারদর

রুই মাছ (আকারভেদে): ৩৫০–৪৫০ টাকা

দেশি মাগুর: ৮০০–১,০০০ টাকা

চিংড়ি: ৮০০–১,২০০ টাকা

কাতলা: ৪০০–৫৫০ টাকা

বোয়াল: ৬০০–৮০০ টাকা

দেশি শিং: ১,০০০ টাকা

চাষের কই: ২২০–২৩০ টাকা

পাবদা: ৩৫০ টাকা

তেলাপিয়া: ২২০ টাকা

ইলিশ (১ কেজি): ২,৭০০ টাকা

বাতাসি টেংরা: ১,৩০০ টাকা

ছোট মাছ (মলা, কাঁচকি, টেংরা): ৫০০–৬০০ টাকা

সবজির বাজারদর

বেগুন: ৬০–৮০ টাকা

করলা: ৭০–৮০ টাকা

বরবটি: ৮০ টাকা

পটল: ৫০–৬০ টাকা

কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, ধুন্দল: ৫০–৮০ টাকা

কচুর লতি: ৭০–৮০ টাকা

কচুর মুখী: ৮০ টাকা

ঝিঙা: ৬০ টাকা

ক্যাপসিকাম: ৩৫০ টাকা

মিষ্টিকুমড়া: ৪০ টাকা

টমেটো (অফসিজন): ১০০–১২০ টাকা

মুলা: ৬০ টাকা

শসা (দেশি): ৬০ টাকা, হাইব্রিড: ৫০ টাকা

শাকপাতা ও অন্যান্য

লালশাক: ১০ টাকা আঁটি

লাউশাক: ৩০–৪০ টাকা

কলমিশাক (২ আঁটি): ২০ টাকা

পুঁইশাক: ৩০ টাকা

ডাঁটাশাক (২ আঁটি): ২০ টাকা

ধনেপাতা: ৩২০ টাকা কেজি

কাঁচামরিচ: ১৬০ টাকা কেজি

কাঁচা আম: ৫০–৭০ টাকা কেজি

লেবু (হালি): ১০–২০ টাকা

কাঁচা কলা (হালি): ২০ টাকা

মুরগি, ডিম ও মাংস

ব্রয়লার মুরগি: ১৫০ টাকা

সোনালি মুরগি: ৩০০ টাকা

লাল লেয়ার: ২৯০ টাকা

দেশি মুরগি: ৬৫০ টাকা

লাল ডিম (ডজন): ১২০ টাকা

হাঁসের ডিম (ডজন): ২২০ টাকা

দেশি ডিম (হালি): ৯০ টাকা

গরুর মাংস: ৭৮০–৮০০ টাকা

খাসির মাংস: ১,২০০ টাকা

কলিজা ও মাথার মাংস: ৪৫০–৮০০ টাকা

গরুর বট: ৩৫০–৪০০ টাকা

বাজার করতে আসা অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যত টাকা নিয়েই বাজারে আসি, কিছু কেনার আগেই টাকাগুলো শেষ হয়ে যায়। মাছ-সবজি তো এখন সোনার চেয়েও দামী!” অনেকে বলছেন, “শুধু পাঙ্গাস আর মুরগি খেয়েই কোনোমতে সংসার চলছে।”

বিক্রেতারা বলছেন কী?

বিক্রেতাদের দাবি, মূল সমস্যা পাইকারি বাজারে। তাদের মতে, মাছ ও সবজির পাইকারি দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়ে তারা লাভ না করেও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাজারে এই মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্বাভাবিক না হলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় আরও চাপ পড়বে এমন আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।