কারভিল শহরে হঠাৎ নদীর পানি বেড়ে প্রাণঘাতী বন্যা, উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহৃত

টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় ১৩ মৃত্যু, নিখোঁজ ২০ শিশু

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১০:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
  • ৫১ বার পঠিত হয়েছে

গুয়াদালুপে নদী প্লাবিত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কারভিল শহরে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২০ শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার ৫ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় গুয়াদালুপে নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটে ২৬ ফুট বেড়ে যাওয়ার ফলে এই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে নদী তীরবর্তী অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং বহু গাড়ি পানিতে ভেসে গেছে।

টেক্সাস প্রশাসন এই পরিস্থিতিকে ‘প্রাণঘাতী ও অত্যন্ত বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়ে বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বন্যার কারণে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের প্রাণহানিও ঘটেছে।

আবহাওয়া সংস্থার মতে, গুয়াদালুপে নদীর পানি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা এই বন্যার ভয়াবহতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় বড় পরিসরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নিখোঁজ ২০ শিশুর মধ্যে কেউ কেউ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে পারে। আমরা এখনো আশা ছাড়িনি।”

তিনি জানান, উদ্ধার তৎপরতায় ১৪টি হেলিকপ্টার এবং ১২টি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা গাছের ডালে আটকে থাকা মানুষ এবং নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করছেন।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের খাদ্য, পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

কারভিল শহরে হঠাৎ নদীর পানি বেড়ে প্রাণঘাতী বন্যা, উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহৃত

টেক্সাসে আকস্মিক বন্যায় ১৩ মৃত্যু, নিখোঁজ ২০ শিশু

প্রকাশ: ১০:৪৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কারভিল শহরে আকস্মিক ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ১৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ২০ শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শনিবার ৫ জুলাই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় গুয়াদালুপে নদীর পানি মাত্র ৪৫ মিনিটে ২৬ ফুট বেড়ে যাওয়ার ফলে এই আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে নদী তীরবর্তী অনেক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং বহু গাড়ি পানিতে ভেসে গেছে।

টেক্সাস প্রশাসন এই পরিস্থিতিকে ‘প্রাণঘাতী ও অত্যন্ত বিপজ্জনক’ আখ্যা দিয়ে বাসিন্দাদের উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বন্যার কারণে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের প্রাণহানিও ঘটেছে।

আবহাওয়া সংস্থার মতে, গুয়াদালুপে নদীর পানি ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা এই বন্যার ভয়াবহতাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।

টেক্সাসের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ড্যান প্যাট্রিক বলেন, “বন্যাকবলিত এলাকায় বড় পরিসরে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। নিখোঁজ ২০ শিশুর মধ্যে কেউ কেউ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে পারে। আমরা এখনো আশা ছাড়িনি।”

তিনি জানান, উদ্ধার তৎপরতায় ১৪টি হেলিকপ্টার এবং ১২টি ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা গাছের ডালে আটকে থাকা মানুষ এবং নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করছেন।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের খাদ্য, পানি ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।