দলগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংস্কারের ঐকমত্য চূড়ান্তের পথে

জুলাই সনদ আসছে

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৮:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ৬২ বার পঠিত হয়েছে

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছাত্র জনতা

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার প্রশ্নে গত কয়েক মাস ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে এখনও দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের অবসান হয়নি। এমনকি যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে না কি সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তাই ‘জুলাই সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আশা করছে, জুলাই মাসের শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা সম্ভব হবে। তবে সনদ ও ঘোষণাপত্রের মধ্যে মূল পার্থক্যও পরিষ্কার করেছে কমিশন। তারা বলছে, জুলাই সনদ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি সংস্কার প্রস্তাবনার চূড়ান্ত রূপ, যা তারা এককভাবে প্রস্তুত করবে। আর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো মিলিতভাবে তৈরি করবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ বা গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের চেষ্টা করেছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সেই অবস্থান থেকে সরে আসে। পরবর্তীতে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের কথাও সরকার জানিয়েছিল।

‘জুলাই সনদ’ কি এবং এর গুরুত্ব কী?

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, ‘জুলাই সনদ’ হলো একটি প্রতিশ্রুতিপত্র, যেখানে থাকবে ঐকমত্য কমিশনের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবনার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে তার তালিকা। এটি একটি জাতীয় সনদ হিসেবে গণ্য হবে, যা দেশের রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

সর্বমোট ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দীর্ঘ সময় ধরে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে এসেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল এতে অংশ নিয়েছে। এই প্রস্তাবনার মধ্যে প্রায় ৮০টির বেশি বিষয়ে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং বাকী গুরুত্বপূর্ণ ২০টি বিষয়ে আলোচনা চলছে।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, এখনো প্রায় ছয় থেকে সাতটি বিষয়ে মতবিরোধ বিদ্যমান, তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলার। জুলাই মাসের শেষে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

প্রধান রাজনৈতিক মতবিরোধের বিষয়সমূহ

রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো মতবৈর্য্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। যেমন:

আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ) গঠন

নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান পদে ভিন্ন ব্যক্তির নিয়োগ

এছাড়াও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত বিধান সংশোধন, হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ এসব বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য না হলে স্বৈরাচারের পুনরুত্থান রোধ করা কঠিন হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এক প্রশ্নে বলেছেন, “সব বিষয়ে যদি ঐকমত্য করতে হয়, তবে আলোচনার কী প্রয়োজন?” তবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, “এমন নয় যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আরো আলোচনা চলবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, সব দিক থেকে সবাই একমত হওয়া সম্ভব নয় কারণ প্রত্যেক দল তাদের স্বার্থও দেখছে। তাই এই সনদ চূড়ান্ত করাই বড় দিক।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ নিয়ে বিভাজন

যখন সংস্কার প্রস্তাব দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাদের সামনে ছয়টি বিকল্প ছিল তা বাস্তবায়নের জন্য:

১. নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে

২. নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে

৩. নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে

৪. গণপরিষদের মাধ্যমে

৫. নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে

৬. গণপরিষদ ও নির্বাচিত সংসদ মিলে বাস্তবায়ন

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অবস্থান ভিন্ন। বিএনপি ও সিপিবি-বাসদ জাতীয় সংসদে বাস্তবায়নের পক্ষে। এনসিপি গণপরিষদ পক্ষে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েক দল বলছে, “সব দল যদি সনদে স্বাক্ষর করে, তার পর নির্বাচিত সংসদে তা বাস্তবায়ন সম্ভব।”

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা কী সংস্কার হবে, তা চূড়ান্ত করছি; কিভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ঠিক করবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ‘কি’ (কি পরিবর্তন হবে) নির্ধারণ করছি, ‘কিভাবে’ নয়।’

বর্তমান ঐকমত্য কমিশনের কাজ শুধু ‘জুলাই সনদ’ তৈরিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কারের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়াবে। যদিও দলগুলো এখনও সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি, তবুও আলোচনার মাধ্যমে তা পূরণে আশাবাদী কমিশন। আগামী জুলাই মাসে সনদ প্রকাশ ও তার বাস্তবায়ন কিভাবে হবে, তা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দলগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে রাজনৈতিক সংস্কারের ঐকমত্য চূড়ান্তের পথে

জুলাই সনদ আসছে

প্রকাশ: ০৮:১৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার প্রশ্নে গত কয়েক মাস ধরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন বিভিন্ন দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মৌলিক কিছু বিষয় নিয়ে এখনও দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধের অবসান হয়নি। এমনকি যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়েও বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

গণভোটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হবে না কি সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে তাই ‘জুলাই সনদ’ ও ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আশা করছে, জুলাই মাসের শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করা সম্ভব হবে। তবে সনদ ও ঘোষণাপত্রের মধ্যে মূল পার্থক্যও পরিষ্কার করেছে কমিশন। তারা বলছে, জুলাই সনদ হলো রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি সংস্কার প্রস্তাবনার চূড়ান্ত রূপ, যা তারা এককভাবে প্রস্তুত করবে। আর ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো মিলিতভাবে তৈরি করবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ বা গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশের চেষ্টা করেছিল। পরে অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সেই অবস্থান থেকে সরে আসে। পরবর্তীতে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদানের কথাও সরকার জানিয়েছিল।

‘জুলাই সনদ’ কি এবং এর গুরুত্ব কী?

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, ‘জুলাই সনদ’ হলো একটি প্রতিশ্রুতিপত্র, যেখানে থাকবে ঐকমত্য কমিশনের বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবনার মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে তার তালিকা। এটি একটি জাতীয় সনদ হিসেবে গণ্য হবে, যা দেশের রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

সর্বমোট ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দীর্ঘ সময় ধরে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে এসেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল এতে অংশ নিয়েছে। এই প্রস্তাবনার মধ্যে প্রায় ৮০টির বেশি বিষয়ে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং বাকী গুরুত্বপূর্ণ ২০টি বিষয়ে আলোচনা চলছে।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, এখনো প্রায় ছয় থেকে সাতটি বিষয়ে মতবিরোধ বিদ্যমান, তবে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঐকমত্য গড়ে তোলার। জুলাই মাসের শেষে চূড়ান্ত সনদ তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

প্রধান রাজনৈতিক মতবিরোধের বিষয়সমূহ

রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো মতবৈর্য্য রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। যেমন:

আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ) গঠন

নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, সরকারি কর্ম কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান পদে ভিন্ন ব্যক্তির নিয়োগ

এছাড়াও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব, নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সংক্রান্ত বিধান সংশোধন, হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ এসব বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য না হলে স্বৈরাচারের পুনরুত্থান রোধ করা কঠিন হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এক প্রশ্নে বলেছেন, “সব বিষয়ে যদি ঐকমত্য করতে হয়, তবে আলোচনার কী প্রয়োজন?” তবে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেন, “এমন নয় যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, আরো আলোচনা চলবে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, সব দিক থেকে সবাই একমত হওয়া সম্ভব নয় কারণ প্রত্যেক দল তাদের স্বার্থও দেখছে। তাই এই সনদ চূড়ান্ত করাই বড় দিক।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ নিয়ে বিভাজন

যখন সংস্কার প্রস্তাব দলগুলোর কাছে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাদের সামনে ছয়টি বিকল্প ছিল তা বাস্তবায়নের জন্য:

১. নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে

২. নির্বাচনের আগে গণভোটের মাধ্যমে

৩. নির্বাচনের সময় গণভোটের মাধ্যমে

৪. গণপরিষদের মাধ্যমে

৫. নির্বাচনের পরে সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে

৬. গণপরিষদ ও নির্বাচিত সংসদ মিলে বাস্তবায়ন

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অবস্থান ভিন্ন। বিএনপি ও সিপিবি-বাসদ জাতীয় সংসদে বাস্তবায়নের পক্ষে। এনসিপি গণপরিষদ পক্ষে। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েক দল বলছে, “সব দল যদি সনদে স্বাক্ষর করে, তার পর নির্বাচিত সংসদে তা বাস্তবায়ন সম্ভব।”

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা কী সংস্কার হবে, তা চূড়ান্ত করছি; কিভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো মিলে ঠিক করবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা ‘কি’ (কি পরিবর্তন হবে) নির্ধারণ করছি, ‘কিভাবে’ নয়।’

বর্তমান ঐকমত্য কমিশনের কাজ শুধু ‘জুলাই সনদ’ তৈরিতে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক সংস্কারের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে দাঁড়াবে। যদিও দলগুলো এখনও সব বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায়নি, তবুও আলোচনার মাধ্যমে তা পূরণে আশাবাদী কমিশন। আগামী জুলাই মাসে সনদ প্রকাশ ও তার বাস্তবায়ন কিভাবে হবে, তা দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।