০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্মূল হয়েছে রাতকানা রোগ প্রায় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • ৬৮ বার পঠিত

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":2},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং এতে শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।

ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময়ের মাঝে অভিভাবকদের স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে গিয়ে শিশুকে ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেসব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান।

জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনের সফলতা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, এবার প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই আয়োজনে যুক্ত আছেন।

তিনি বলেন, এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১ হাজার ২২৪টি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রদান সম্ভব হবে না। তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরে খুব দ্রুত সময়ে ভিটিমিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেয়া হবে।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ভিটামিন এ-প্লাস কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আর তা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।

নির্মূল হয়েছে রাতকানা রোগ প্রায় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন সফল হওয়ায় দেশে রাতকানা রোগ প্রায় নির্মূল হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বছরে ২ বার শতকরা ৯৮ ভাগ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে কমে এসেছে এবং এতে শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো চলমান রাখতে হবে।

ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইন পর্যালোচনার জন্য ক্যাম্পেইনের দিন প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। সকাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময়ের মাঝে অভিভাবকদের স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে গিয়ে শিশুকে ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ সারা বিশ্বের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, যাদের ঘরে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশু আছে সেসব মা-বাবা এবং অভিভাবকরা যেন অবশ্যই তাদের শিশুদের নিকটস্থ কেন্দ্রে (ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র) নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান।

জাতীয় ভিটামিন এ-প্লাস ক্যাম্পেইনের সফলতা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, এবার প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই আয়োজনে যুক্ত আছেন।

তিনি বলেন, এবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার প্রায় ১ হাজার ২২৪টি কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রদান সম্ভব হবে না। তবে পুনর্বাসন সমস্যা সমাধান হলে সেখানে পরে খুব দ্রুত সময়ে ভিটিমিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেয়া হবে।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ভিটামিন এ-প্লাস কর্মসূচি বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে। ক্যাম্পেইন সফল করতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আর তা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি গণমাধ্যমের সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিশ্বস্বাস্থ্য) ড. মো. জিয়াউদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান প্রমুখ।