অবশেষে নির্মাণ হতে যাচ্ছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শনিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজশাহী নগরীর সোনাদীঘির পশ্চিমে জেলা পরিষদের নিজস্ব জমিতে মিনার নির্মাণকাজের সূচনা করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল।
এর আগে ২০২০ সালে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি ও ভাষাসৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রেজা হাসানের দেওয়া তথ্য মতে, জেলা পরিষদের প্রায় তিন বিঘা জায়গার ওপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে আগে সার্ভে ইনস্টিটিউট ছিল। শহীদ মিনারের মূল বেদিটি হবে দুই বিঘার ওপর। বাকি এক বিঘার ওপর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও সংস্কৃতিক কর্নার করা হবে। এরই মধ্যে সরকারি নিয়ম মেনে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। আগামী বছরের মাধ্যে কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রাজশাহীতে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ- দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস ও স্মৃতিতে সমৃদ্ধ শিক্ষানগরী রাজশাহী। ঐতিহ্য বহনকারী এ শহরে শহীদদের স্মরণে কোনো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছিল না।
২০২০ সালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোনাদীঘি সংলগ্ন পুরোনো সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিত্যক্ত জায়গায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।