রাজধানীর কাঁচাবাজারে আগুন যেন লেগেছে সবজির দামে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের শীতের আগাম সবজির দাম বেড়ে গেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে ৮০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শুক্রবার সকালে রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের মুখে অসন্তোষ- “সবজির ঝুড়ি ভরার আগেই পকেট ফাঁকা!”
কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মোবারক আলী বলেন, “সবজির মধ্যে এখন সবচেয়ে দামি শিম। কেজিপ্রতি ২০০ টাকাও ছাড়াচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও (প্রতি কেজি ২০০ টাকায় নেমে এসেছে) অন্য সবজির দাম ক্রমেই চড়ছে।”
বর্তমানে বাজারে গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, মুলা ও ধন্দুল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, ঝিঙা ও পটল ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা এবং টমেটো ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট বাঁধাকপি পাওয়া যাচ্ছে ৬০ টাকায়, গাজর ১৩০ টাকায় এবং লাউ প্রতি পিস ৭০ টাকায়।
অন্যদিকে পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা ও লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাদ্যপণ্যের মধ্যে ডালেও লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব। বাজারে ছোট দানার মসুর ডাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, যা দেড় মাস আগেও ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা। মসুর ডালের সঙ্গে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দামও বেড়েছে কিছুটা।
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে ক্রেতা সুমন কুণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সবজির ঘাটতি নেই, কিন্তু দাম বাড়ানোর অজুহাতের শেষ নেই। এক সপ্তাহ আগে তেল বাড়ল, এখন ডাল। সংসার চালানোই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”
এদিকে মাছ-মাংসের দামও আগের মতোই চড়া।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, কক ২৬০ থেকে ২৯০ টাকা, লেয়ার ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৩০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, সরবরাহে বড় কোনো সংকট না থাকলেও পাইকারি পর্যায়ে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ ও পরিবহন ব্যয়ের অজুহাতে বাজারে পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। এর ফলে সাধারণ ক্রেতাদের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাচ্ছে।
দৈনিক টার্গেট 

























