ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কুমারশীল মোড়ে একটি ফার্মেসিতে ঢুকে কর্মচারীদের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা যুবলীগের এক নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের পরপরই ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়ে, যা এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায়। পরে বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে মিনহাজ ফার্মেসির মালিক মোঃ কাউসার সদর মডেল থানায় ওই নারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
রাজনৈতিক মামলায় পলাতক স্বামী, দুই স্ত্রীর টানাপোড়েন
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে-সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু কাউসার দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলায় পলাতক। এর মধ্যেই তিনি প্রথম স্ত্রী লিজা আক্তারকে অন্ধকারে রেখে গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় সংসারে সন্তানের জন্মের পর বিষয়টি প্রথম স্ত্রীর জানা হলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর অবস্থান জানতে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এ সময় তিনি জানতে পারেন, স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাই কুমারশীল মোড়ের মিনহাজ ফার্মেসিতে চাকরি করেন।
ফার্মেসিতে ঢুকে পিস্তল প্রদর্শন
২৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় লিজা আক্তার ওই ফার্মেসিতে যান। তবে সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীর ভাইকে না পেয়ে দোকানের কাউন্টারে দাঁড়িয়ে কথাকাটাকাটি শুরু করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, একপর্যায়ে তিনি নিজের ভ্যানিটি ব্যাগ খুলে একটি আগ্নেয়াস্ত্র বের করেন এবং দোকান মালিকসহ কর্মচারীদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। পুরো ঘটনাটি দোকানের সিসিটিভিতে ধরা পড়ে।
ফার্মেসির মালিক মোঃ কাউসার বলেন, “ওইদিন তিনি আমাদের স্টাফকে খুঁজছিলেন। না পেয়ে হঠাৎ পিস্তল বের করে আমাকে ও কর্মচারীদের লক্ষ্য করে হুমকি দেন। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হই।”
অভিযুক্ত লিজা আক্তারের বক্তব্য জানতে চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে
সদর মডেল থানার এসআই আব্দুল আলিম জানান, “ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য তথ্য যাচাই করে পুরো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হবে। কোন পক্ষই ছাড় পাবে না।”
এ ঘটনার পর এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, যেহেতু ফুটেজে ঘটনাটি ধরা পড়েছে, দ্রুত তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
দৈনিক টার্গেট 












