এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তৃতীয় বার্ষিকীতে অসহায়দের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ ও সু-শাসনের আহ্বান

এসিএমবিএফ-এর  প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০১:১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • ২৯ বার পঠিত হয়েছে

🌍 মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫ 🏆

⏳ সময় গণনা চলছে...

বাংলাদেশের সমাজসেবা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন (এসিএমবিএফ)। সরকার অনুমোদিত (নং-১০২৮৮ এস) এই স্বেচ্ছাসেবী আন্তর্জাতিক জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান তার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এই অনুষ্ঠানে সু-শাসন, মানবাধিকার সচেতনতা এবং অধিকারবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে, আগাম শীতকালের মুখোমুখি হওয়া দরিদ্র, ছিন্নমূল এবং অসহায় মানুষদের মধ্যে কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ফাউন্ডেশন শুধুমাত্র মানবিক সহায়তাই প্রদান করছে না, বরং সমাজে সু-শাসনের ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

এসিএমবিএফ-এর মূল লক্ষ্য হলো নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, ভূমিহীন, ছিন্নমূল, অবহেলিত ও অসহায় জনগোষ্ঠীর আইনগত সহায়তা প্রদান। প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে অধিকারবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পালন করে চলেছে। প্রধান কার্যালয় মতিঝিলের ১৯৫ নং ফকিরাপুল প্রথম গলিতে অবস্থিত রহমান ম্যানশনের (তৃতীয় তলা) এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বিস্তৃত এবং বহুমুখী। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনি সহায়তা থেকে শুরু করে জরুরি মানবিক সাহায্য পর্যন্ত- সব ক্ষেত্রে তারা সক্রিয়। ওয়েবসাইট www.acmbf.com-এর মাধ্যমে তারা তাদের কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলে। ই-মেইল: asiachinnamul@yahoo.com এবং ফোন: ০১৭১২১২১৪৬৬, ০১৮১৯১০১৫৮৬-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের (ঢাকা) সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়ার সভাপতিত্বে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য, সম্প্রচার ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত। বক্তব্যে তিনি বলেন, “মানবাধিকারের বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো সমাজের সু-শাসন সম্ভব নয়। এসিএমবিএফ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের আয়না এবং তারা যে সচেতনতা ছড়াচ্ছে, তা সকলের জন্য অনুকরণীয়। শীতকালে অসহায়দের সাহায্য করা শুধু মানবিকতার কাজ নয়, এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।” তাঁর এই কথায় সভাকক্ষে উচ্ছ্বাসের সঞ্চার ঘটে।

অনুষ্ঠানে  বক্তারা বলেন, “যুবশক্তির অংশগ্রহণ ছাড়া মানবাধিকারের লড়াই অসম্পূর্ণ। এসিএমবিএফ-এর এই উদ্যোগ যুবকদের অনুপ্রাণিত করবে।” লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ও উপদেষ্টা লায়ন মোঃ গণি মিয়া বাবুল তাঁর বক্তব্যে সাহিত্যের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সাহিত্য মানবাধিকারের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এসিএমবিএফ-এর মতো সংগঠন সাহিত্যিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজ পরিবর্তন ঘটাতে পারে।”

বক্তারা বলেন, “মানবাধিকারের লঙ্ঘন আমাদের সমাজের ক্ষতি। এসিএমবিএফ-এর কার্যক্রম এই লড়াইয়ে নতুন আলো জ্বালাচ্ছে। “প্রেসের ভূমিকা মানবাধিকার রক্ষায় অপরিহার্য। আমরা এসিএমবিএফ-এর সঙ্গে সহযোগিতা করব।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রফেসর এম শরিফুল ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে মানবাধিকার সচেতনতা ছড়ানোর উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা ছাড়া মানবাধিকারের বাস্তবায়ন অসম্ভব। এসিএমবিএফ-এর শিক্ষা-কেন্দ্রিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়।” বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদের উপদেষ্টা মোঃ আবু আহাদ আল মামুন (দ্বীপু মীর) ধর্মীয় সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ইসলাম মানবতার ধর্ম। এসিএমবিএফ-এর কাজ এই মানবতার প্রকাশ।”

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এম সোহেল আহমদ অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের অতীত কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা হাজারো অসহায়কে সাহায্য করেছি। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা, শিশু শ্রম রোধ এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন- এসব আমাদের অগ্রাধিকার।” কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের মন্ডল এবং কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগরণের উপর আলোচনা করেন। কার্যকরী পরিষদ সমন্বয়ক মোঃ দলিলউদ্দিন হাওলাদার দুলাল এবং সদস্যরা মোঃ সেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, হাজী আবদুর রহমান, সাংবাদিক এম ওজি বাবর, জামিলা আক্তার পারুল, মাসুদ রানা, হাকীম আবদুল করিম, মোঃ মফিজুল ইসলাম, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, মোঃ হারিসুর রহমান, নাজমুল হক মজুমদার শামীম, ফখরুল ইসলাম আনসারী, আবদুর রশিদ, নাজনীন আহমেদ- সকলে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

দৈনিক দ্বীপাঞ্চলের সম্পাদক দৈনিক মুক্তিরলড়াই সম্পাদক কামরুজ্জামান জনি, মোঃ জাকির হোসেন, মোশাররফ হোসেন, নাজমূল হক মজুমদার শামীম, নাজমূল হুদা পাপ্পু, মোছাঃ ময়না আক্তার, দৌলোতুন নাহার, সাংবাদিক মোঃ আবুল খায়েরও মোঃ আবু তাহের, হাকীম মোঃ ফয়েজুল্যাহ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঢাকা এস.আই মোঃ আবদুল মান্নান, মোঃ আবু জাফর ভূঞ্জা, মোঃ মাসুদ রানা, শারমিন সুলতানা, এস এম সফিউল্লাহ মুন্সী, নাছিমা আক্তার মায়া, দৌলোতুন নাহার, আলহাজ্ব আবুল কালাম ইদ্রিস, জগদীশ চন্দ্র সরকার, লাকসাম প্রেসক্লাবের সভাপতি নূর উদ্দিন জালাল আজাদ, মোঃ নাছির উদ্দিন, শেখ সেলিম, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কবি মাহবুব আলম, শেখ রুমী, লাকী আক্তার, মোঃ ফয়েজ আহমদ (আইনজীবী সিলেট জজকোর্ট), মোহাম্মদ তফাজ্জল হোসেন, মোঃ আব্দুল হামিদ, এম এম রহমান, মরজান আহমেদ, মোঃ আলাউদ্দিন টিপু হালিমুল ইসলাম ছোটন, জাকের হায়দার সুমন, মোঃ খোরশেদ আলম, আবদুল খালেক মন্ডল, মুন্সী আতিকুর রহমান, মনিন্দ্র চন্দ্র দাস, মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মতিউর রহমান (ওবায়দুল্লাহ ট্রেডার্স, চাপাইনবাবগঞ্জ), হুমায়ুন কায়সার, আজমল আলী শাহ (সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক), মোঃ সোলাইমান, মোঃ নূরুল আজিম, মোঃ মহিবুল্লাহ ভূঁইয়া বাবুল (চৌকস সাংবাদিক), আবু সালেক ভূঁইয়া (চারণ সাংবাদিক) গাজীপুর, অধ্যক্ষ জি এম শাহজাহান সালেহী (শিক্ষাবীদ ও সমাজসেবক), মোঃ বাবুল হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ একরামূল হক মুন্সী (চিতলমারীর অন্তরালে), নূরুল ইসলাম, মোঃ এরশাদ খান (দৈনিক চাঁদপুর সময়), এইচ এম এম ইরফান (সমাজসেবক ও রাজনৈতিক), এম এ কুদ্দুছ মজুমদার, মোসাঃ জেবউন নেছা, মাহমুদুল হক রুপক, এইচ এম মারুফ সিকদার, মাহফুজুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ, গাজী যুবায়ের আলম (দি নিউজ বিডি ২৪ ডটকম), দ্বীন মোহাম্মদ মজুমদার, হাজী মোঃ আবদুর রহমান, মোঃ আফজাল হোসেন, মোঃ জাকারিয়া মাসুদ (সমাজকর্মী, চিত্র পরিচালক), সভাপতি হবিগঞ্জ জেলা মোঃ রুহুল আমিন (আদর্শ সমাজকর্মী) এই বিশাল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।

ধর্মীয় নেতাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও গভীরতা যোগ করে। মুফতী জাকির আহমাদ হিজাজী, মুহতামিম দারুল উলুম মুঈনুল কোরআন আহমাদ নগর মাদ্রাসা, ক্বারী মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ফরিদপুরী খলিফা তাওহীদিয়া দরবার শরীফ এবং পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান তাওহীদী মুহতামিমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। হোসাইনিয়া পাক দরবার শরীফের খেদমতকারী সাহাদাত সিকদার এবং হযরত শাহ কালা দরগাহ শরীফের খেদমতকারী আজমল আলী শাহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোয়া, মুসকিলে আসান তদবীরদানে প্রশাসনিক সমন্বয়ে জিকির, মিলাদ, দোয়া আয়োজন করেন। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক মাত্রা যোগ করে।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং গুণীজন সংবর্ধনা। প্রশাসনিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশায় সফল কর্মীদের সম্মানিত করা হয়। সেই সঙ্গে, হতদরিদ্রদের মাঝে শীত নিবারণে কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এই বিতরণ কর্মসূচি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এবং অসহায় শিবিরে পরিচালিত হবে। ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটি মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “এই কর্মসূচি আমাদের সংগ্রামের ফল। আমরা চাই সকলে মিলে সু-শাসন গড়ি, যাতে কেউ অধিকারবঞ্চিত না থাকে।”

এসিএমবিএফ-এর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলনকে নতুন গতি প্রদান করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সমাজের সকল স্তর থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ফাউন্ডেশন বলেছে, “মানবাধিকার অগ্রাধিকার, অধিকারবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতা ধন্যবাদের সাথে গৃহীত হইবে।” এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা শুধু উদযাপন করেনি, বরং ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নপথে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অপরিসীম।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন

দৈনিক টার্গেট

আমাদের ফেসবুক পেজটি ফলো করুন সর্বশেষ খবর পেতে।

ফলো করুন

এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তৃতীয় বার্ষিকীতে অসহায়দের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ ও সু-শাসনের আহ্বান

এসিএমবিএফ-এর  প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০১:১০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

🌍 মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫ 🏆

⏳ সময় গণনা চলছে...

বাংলাদেশের সমাজসেবা ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য নাম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন (এসিএমবিএফ)। সরকার অনুমোদিত (নং-১০২৮৮ এস) এই স্বেচ্ছাসেবী আন্তর্জাতিক জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান তার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

এই অনুষ্ঠানে সু-শাসন, মানবাধিকার সচেতনতা এবং অধিকারবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সকলের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে, আগাম শীতকালের মুখোমুখি হওয়া দরিদ্র, ছিন্নমূল এবং অসহায় মানুষদের মধ্যে কম্বলসহ শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ফাউন্ডেশন শুধুমাত্র মানবিক সহায়তাই প্রদান করছে না, বরং সমাজে সু-শাসনের ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

এসিএমবিএফ-এর মূল লক্ষ্য হলো নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, ভূমিহীন, ছিন্নমূল, অবহেলিত ও অসহায় জনগোষ্ঠীর আইনগত সহায়তা প্রদান। প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়ে অধিকারবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি পালন করে চলেছে। প্রধান কার্যালয় মতিঝিলের ১৯৫ নং ফকিরাপুল প্রথম গলিতে অবস্থিত রহমান ম্যানশনের (তৃতীয় তলা) এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম বিস্তৃত এবং বহুমুখী। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনি সহায়তা থেকে শুরু করে জরুরি মানবিক সাহায্য পর্যন্ত- সব ক্ষেত্রে তারা সক্রিয়। ওয়েবসাইট www.acmbf.com-এর মাধ্যমে তারা তাদের কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলে। ই-মেইল: asiachinnamul@yahoo.com এবং ফোন: ০১৭১২১২১৪৬৬, ০১৮১৯১০১৫৮৬-এর মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায়।

অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের (ঢাকা) সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল মিয়ার সভাপতিত্বে এই কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য, সম্প্রচার ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত। বক্তব্যে তিনি বলেন, “মানবাধিকারের বাস্তবায়ন ছাড়া কোনো সমাজের সু-শাসন সম্ভব নয়। এসিএমবিএফ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের আয়না এবং তারা যে সচেতনতা ছড়াচ্ছে, তা সকলের জন্য অনুকরণীয়। শীতকালে অসহায়দের সাহায্য করা শুধু মানবিকতার কাজ নয়, এটি আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।” তাঁর এই কথায় সভাকক্ষে উচ্ছ্বাসের সঞ্চার ঘটে।

অনুষ্ঠানে  বক্তারা বলেন, “যুবশক্তির অংশগ্রহণ ছাড়া মানবাধিকারের লড়াই অসম্পূর্ণ। এসিএমবিএফ-এর এই উদ্যোগ যুবকদের অনুপ্রাণিত করবে।” লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের সভাপতি ও উপদেষ্টা লায়ন মোঃ গণি মিয়া বাবুল তাঁর বক্তব্যে সাহিত্যের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সাহিত্য মানবাধিকারের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। এসিএমবিএফ-এর মতো সংগঠন সাহিত্যিকদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাজ পরিবর্তন ঘটাতে পারে।”

বক্তারা বলেন, “মানবাধিকারের লঙ্ঘন আমাদের সমাজের ক্ষতি। এসিএমবিএফ-এর কার্যক্রম এই লড়াইয়ে নতুন আলো জ্বালাচ্ছে। “প্রেসের ভূমিকা মানবাধিকার রক্ষায় অপরিহার্য। আমরা এসিএমবিএফ-এর সঙ্গে সহযোগিতা করব।

Google News দৈনিক টার্গেটের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল

বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটির চেয়ারম্যান প্রফেসর এম শরিফুল ইসলাম শিক্ষার মাধ্যমে মানবাধিকার সচেতনতা ছড়ানোর উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “শিক্ষা ছাড়া মানবাধিকারের বাস্তবায়ন অসম্ভব। এসিএমবিএফ-এর শিক্ষা-কেন্দ্রিক কার্যক্রম প্রশংসনীয়।” বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদের উপদেষ্টা মোঃ আবু আহাদ আল মামুন (দ্বীপু মীর) ধর্মীয় সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ইসলাম মানবতার ধর্ম। এসিএমবিএফ-এর কাজ এই মানবতার প্রকাশ।”

সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এম সোহেল আহমদ অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের অতীত কার্যক্রমের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা হাজারো অসহায়কে সাহায্য করেছি। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা, শিশু শ্রম রোধ এবং প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন- এসব আমাদের অগ্রাধিকার।” কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের মন্ডল এবং কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগরণের উপর আলোচনা করেন। কার্যকরী পরিষদ সমন্বয়ক মোঃ দলিলউদ্দিন হাওলাদার দুলাল এবং সদস্যরা মোঃ সেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া, হাজী আবদুর রহমান, সাংবাদিক এম ওজি বাবর, জামিলা আক্তার পারুল, মাসুদ রানা, হাকীম আবদুল করিম, মোঃ মফিজুল ইসলাম, মুহাম্মদ আবদুল হাকিম, মোঃ হারিসুর রহমান, নাজমুল হক মজুমদার শামীম, ফখরুল ইসলাম আনসারী, আবদুর রশিদ, নাজনীন আহমেদ- সকলে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

দৈনিক দ্বীপাঞ্চলের সম্পাদক দৈনিক মুক্তিরলড়াই সম্পাদক কামরুজ্জামান জনি, মোঃ জাকির হোসেন, মোশাররফ হোসেন, নাজমূল হক মজুমদার শামীম, নাজমূল হুদা পাপ্পু, মোছাঃ ময়না আক্তার, দৌলোতুন নাহার, সাংবাদিক মোঃ আবুল খায়েরও মোঃ আবু তাহের, হাকীম মোঃ ফয়েজুল্যাহ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঢাকা এস.আই মোঃ আবদুল মান্নান, মোঃ আবু জাফর ভূঞ্জা, মোঃ মাসুদ রানা, শারমিন সুলতানা, এস এম সফিউল্লাহ মুন্সী, নাছিমা আক্তার মায়া, দৌলোতুন নাহার, আলহাজ্ব আবুল কালাম ইদ্রিস, জগদীশ চন্দ্র সরকার, লাকসাম প্রেসক্লাবের সভাপতি নূর উদ্দিন জালাল আজাদ, মোঃ নাছির উদ্দিন, শেখ সেলিম, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, কবি মাহবুব আলম, শেখ রুমী, লাকী আক্তার, মোঃ ফয়েজ আহমদ (আইনজীবী সিলেট জজকোর্ট), মোহাম্মদ তফাজ্জল হোসেন, মোঃ আব্দুল হামিদ, এম এম রহমান, মরজান আহমেদ, মোঃ আলাউদ্দিন টিপু হালিমুল ইসলাম ছোটন, জাকের হায়দার সুমন, মোঃ খোরশেদ আলম, আবদুল খালেক মন্ডল, মুন্সী আতিকুর রহমান, মনিন্দ্র চন্দ্র দাস, মোঃ বেলাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মতিউর রহমান (ওবায়দুল্লাহ ট্রেডার্স, চাপাইনবাবগঞ্জ), হুমায়ুন কায়সার, আজমল আলী শাহ (সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক), মোঃ সোলাইমান, মোঃ নূরুল আজিম, মোঃ মহিবুল্লাহ ভূঁইয়া বাবুল (চৌকস সাংবাদিক), আবু সালেক ভূঁইয়া (চারণ সাংবাদিক) গাজীপুর, অধ্যক্ষ জি এম শাহজাহান সালেহী (শিক্ষাবীদ ও সমাজসেবক), মোঃ বাবুল হোসেন ভূঁইয়া, মোঃ একরামূল হক মুন্সী (চিতলমারীর অন্তরালে), নূরুল ইসলাম, মোঃ এরশাদ খান (দৈনিক চাঁদপুর সময়), এইচ এম এম ইরফান (সমাজসেবক ও রাজনৈতিক), এম এ কুদ্দুছ মজুমদার, মোসাঃ জেবউন নেছা, মাহমুদুল হক রুপক, এইচ এম মারুফ সিকদার, মাহফুজুর রহমান, আবদুল ওয়াদুদ, গাজী যুবায়ের আলম (দি নিউজ বিডি ২৪ ডটকম), দ্বীন মোহাম্মদ মজুমদার, হাজী মোঃ আবদুর রহমান, মোঃ আফজাল হোসেন, মোঃ জাকারিয়া মাসুদ (সমাজকর্মী, চিত্র পরিচালক), সভাপতি হবিগঞ্জ জেলা মোঃ রুহুল আমিন (আদর্শ সমাজকর্মী) এই বিশাল অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন।

ধর্মীয় নেতাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে আরও গভীরতা যোগ করে। মুফতী জাকির আহমাদ হিজাজী, মুহতামিম দারুল উলুম মুঈনুল কোরআন আহমাদ নগর মাদ্রাসা, ক্বারী মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন ফরিদপুরী খলিফা তাওহীদিয়া দরবার শরীফ এবং পীরে কামেল আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মাহমুদুল হাসান তাওহীদী মুহতামিমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। হোসাইনিয়া পাক দরবার শরীফের খেদমতকারী সাহাদাত সিকদার এবং হযরত শাহ কালা দরগাহ শরীফের খেদমতকারী আজমল আলী শাহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোয়া, মুসকিলে আসান তদবীরদানে প্রশাসনিক সমন্বয়ে জিকির, মিলাদ, দোয়া আয়োজন করেন। এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠানের আধ্যাত্মিক মাত্রা যোগ করে।

অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি প্রদান এবং গুণীজন সংবর্ধনা। প্রশাসনিক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশায় সফল কর্মীদের সম্মানিত করা হয়। সেই সঙ্গে, হতদরিদ্রদের মাঝে শীত নিবারণে কম্বল বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে। এই বিতরণ কর্মসূচি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা এবং অসহায় শিবিরে পরিচালিত হবে। ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটি মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “এই কর্মসূচি আমাদের সংগ্রামের ফল। আমরা চাই সকলে মিলে সু-শাসন গড়ি, যাতে কেউ অধিকারবঞ্চিত না থাকে।”

এসিএমবিএফ-এর এই উদ্যোগ বাংলাদেশের মানবাধিকার আন্দোলনকে নতুন গতি প্রদান করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সমাজের সকল স্তর থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে ফাউন্ডেশন বলেছে, “মানবাধিকার অগ্রাধিকার, অধিকারবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতা ধন্যবাদের সাথে গৃহীত হইবে।” এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা শুধু উদযাপন করেনি, বরং ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নপথে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অপরিসীম।

WhatsApp

আমাদের WhatsApp চ্যানেল ফলো করুন

ফলো করুন