খুলনার কয়রায় তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে কাঁকড়া কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে লাখ টাকা পুরস্কারের চার দলীয় নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। ১ নভেম্বর শনিবার বিকেলে কপোতাক্ষ মহাবিদ্যালয় মাঠে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে টুর্নামেন্টের সূচনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল বাকী।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!উপজেলা কাঁকড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও যুবদল নেতা আহাদুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কয়রা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শাহ আলম, উপজেলা যুবদল নেতা মোনতাসিম বিল্লাহ এবং কয়রা বাজার কমিটির সভাপতি জুলফিকার আলম। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ক্রীড়াবিদ ও ফুটবলপ্রেমীরা উপস্থিত থেকে আয়োজনকে স্মরণীয় করে তোলেন।
উদ্বোধনী ম্যাচে মিনিস্টার শোরুম কয়রা দল সাতক্ষীরার কলারোয়া ফুটবল একাডেমিকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে। খেলার শুরু থেকে উভয় দলের খেলোয়াড়রা আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেন। মাঠজুড়ে দর্শকদের উচ্ছ্বাস ও গগনবিদারী চিৎকার খেলার উত্তেজনাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। মিনিস্টার শোরুম কয়রার তারকা ফরোয়ার্ড রাজু একাই তিন গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। প্রথমার্ধে দুটি এবং দ্বিতীয়ার্ধের ২০ মিনিটের মধ্যে তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দলকে সহজ জয় এনে দেয়।
খেলা পরিচালনা করেন রেফারি মোক্তার হোসেন মিঠু। ধারাভাষ্যে ছিলেন কয়রার খ্যাতনামা ভাষ্যকার মেজবাহ উদ্দিন ও আশরাফ হোসেন। তাদের জীবন্ত বর্ণনা দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে। ম্যাচ শেষে বিজয়ী দলের খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
আয়োজক কমিটি জানায়, এলাকার তরুণ সমাজকে মাদক, জুয়া ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রেখে সুস্থ বিনোদন ও শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। চার দলের এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন দল লাখ টাকা ও রানার্সআপ দলকে যথেষ্ট পুরস্কার প্রদান করা হবে।
স্থানীয় ক্রীড়ামোদীরা বলেন, দীর্ঘদিন পর এমন বড় মাপের ফুটবল আয়োজন কয়রার ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। তরুণরা এখন মাঠমুখী হচ্ছে, যা সমাজের জন্য ইতিবাচক সংকেত। তারা আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এ ধরনের প্রতিযোগিতার দাবি জানান।
শেখ সিরাজউদ্দৌলা লিংকন 




















