আসন্ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষার্থী সংগঠন ও প্যানেল। এরই ধারাবাহিকতায় ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ নামে একটি প্যানেল শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে সাত দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। ইশতেহার পাঠ করেন প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী চৌধুরী তাসনিম জাহান শ্রাবণ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভিপি প্রার্থী আবির বিন জাবেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী পলাশ দেসহ প্যানেলের অন্যান্য সদস্যরা।
ইশতেহারে সাতটি মূল অঙ্গীকারের অধীনে মোট ৪৫টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন ও খাদ্যমান, প্রশাসনিক সংস্কার, গবেষণা ও একাডেমিক উন্নয়ন, নিরাপদ ও সবুজ ক্যাম্পাস গঠন, এবং শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ নিয়ে বাস্তবায়নযোগ্য কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভিপি প্রার্থী আবির বিন জাবেদ বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস হলেও এর সামর্থ্য এখনও পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। একাডেমিক ও গবেষণায় চবির অবস্থান দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক নিচে। শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত আবাসন, নিরাপদ পরিবহন ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের মতো মৌলিক বিষয়গুলোও আজ অধরাই থেকে গেছে।”
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন শুধু অবকাঠামো নয়, বরং শিক্ষার্থীর জীবনমান ও সুযোগ-সুবিধার ওপর নির্ভর করে। তাই ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ শিক্ষার্থীদের প্রতিটি দাবি বাস্তবায়নের জন্য সচেষ্ট থাকবে।
ইশতেহারের ৭ দফা মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে-
- শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা ও নতুন বাস সংযোজন
- হল ও আবাসিক অবকাঠামোর মানোন্নয়ন
- ক্যাম্পাসে মানসম্মত ও স্বল্পমূল্যের খাদ্য নিশ্চিতকরণ
- আধুনিক গবেষণা সুবিধা ও একাডেমিক সংস্কার
- প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা
- পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠন
- শিক্ষার্থীদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গড়ে তোলা
ইশতেহার ঘোষণার পর প্যানেলের প্রার্থীরা বলেন, তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র নির্বাচন নয়, বরং “একটি উন্নয়নমুখী ও সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ” গড়ে তোলা, যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।